শিরোনাম
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ   » «    বেনাপোল যশোর রোডে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ১৫   » «    ফরিদপুরে ঐতিহ্যবাহী খেজুর গুড় তৈরিতে ব্যস্ত খেজুর গাছীরা   » «    মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে জুতা পরে হিরো আলম ও রিয়া মনি   » «    পাকিস্তান থেকে দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আবার এলো সেই জাহাজ   » «   

সাতক্ষীরায় ছাগল পালন করে ৩০ বছর সংসার চলেসা লমা-মুজিবর দম্পতির 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার এল্লাচর বালিথা গ্রামে গড়ে তুলেছেন “রাজা গট ফার্ম” নামের একটি ছাগলের খামার। বিয়ের পর প্রায় ৩০ বছর আগে সালমা মুজিবর দম্পতি মাত্র পাঁচটি ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল দিয়ে শুরু করে এ খামার। বর্তমান তাদের খামার রুপ নিয়েছে বিশাল ফার্মে।

বর্তমানে ব্ল্যাক বেঙ্গল, রাম, যমুনা পারি, বিটল, বোয়ার, বারবারি, তোতাপারি, হরিয়ানা, গুজরিসহ উন্নত জাতের শতাধিক ছাগল রয়েছে খামারে। আর এ সব উন্নত জাতের ছাগল সংগ্রহ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। প্রজননের জন্য খামারে রাখা হয়েছে ২টি উন্নত জাতের পাঁঠাও। ছাগলের খাদ্যের জন্য জমিতে রোপন করেছেন নেপিয়ার ঘাস। এ সব ছাগল ও ছাগলের বাচ্চা বিক্রি করে প্রতিমাসে আয় করে ৭০-৮০ হাজার টাকা। ছাগলের পাশাপাশি খামারে রয়েছে দুম্বা ও গাড়ল।

ছাগলের খামারের উপরে উপার্জিত টাকা দিয়ে ছেলে মেয়ের লেখাপড়াসহ সংসার চলে তাদের। পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন একটি এতিমখানা। তাদের ফার্মে কর্মসংস্থান হয়েছে এলাকার ২-৩ জন যুবকের।

সালমা আক্তারের স্বামী মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা বিয়ের পর থেকে ৫ টি ছাগল দিয়ে খামার শুরু করি। পর্যায়ক্রমে খামার বড় হতে থাকে। খামারে উন্নত জাতের বিভিন্ন ধরনের ছাগল রয়েছে। প্রতি মাসে ছোট বড় মিলিয়ে ২০-২৫ টি ছাগল বিক্রয় করে থাকি। এই ছাগলের খামারের উপর নির্ভর করে আমাদের পুরো সংসার চলে। এখানে ১০-১২ জাতের ছাগল রয়েছে। এখানে ২-৩ জন মানুষের  নিয়মিত কাজের সৃষ্টি করতে পেরেছি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে আমাদের খামার থেকে ছাগল সংগ্রহ করে অনেকে খামার তৈরি করেছে।

খামার দেখতে আাশা আসিফ বলেন, এখানে উন্নত জাতের বিভিন্ন ধরনের ছাগলের জাত রয়েছে দেখে খুবই ভালো লাগছে। সচারাচর এ অঞ্চলে এ ধরনের ছাগলের খামারে নেই বল্লেই চলে তাছাড়া সৌদি আরবের প্রাণী দুম্বা এই খামারে প্রথম দেখে অবাক হলাম।

খামারী সালমা আক্তার বলেন, আমরা বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী মিলে ছাগলের খামার শুরু করি। এই খামার থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে চার ছেলে মেয়েরসহ পুরো সংসার চলে এছাড়া জমি ক্রয় করে বাড়ি করেছি। খামারে বিভিন্ন জাতের ছাগলের পাশাপাশি দুম্বা ও গাড়ল রয়েছে। আমাদের এখান থেকে ছাগল ও বাচ্চা সংগ্রহ করে অনেক যুবক খামারী হয়েছে। আমাদের খামারের ছাগল দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।

সাতক্ষীরা প্রাণী সম্পাদ অফিসার ডা.এবিএম আব্দুর রউফ জানান, গরিবের গাভী খ্যাত ছাগল পালন। সাতক্ষীরা সদরের এল্লাচর বালিথায় সালমা আক্তার নামের একজন খামারী  দীর্ঘদিন ছাগল পালন করে যাচ্ছে, তার খামারে বিভিন্ন প্রকার ছাগল রয়েছে, ছাগলের পাশাপাশি দুম্বাও চাষ করছেন তিনি ছাগলের খাদ্য হিসেবে বাড়ির আঙিনায় ঘাস চাষ শুরু করেছেন এই ছাগলের খামারের উপরে তার সংসার চলে। আমরা এধরনের খামারিদের সবসময় সহযোগিতা করে থাকি। সালমার মতন গ্রামীন মহিলারা যদি এগিয়ে আসে তাহলে পারিবারিক আয়ের উৎস তৈরি হবে এবং মাংসের দাম আরও কমবে বলে আশাকরি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * ছাগল পালন * সাতক্ষীরা
সাম্প্রতিক সংবাদ