শিরোনাম
সিরাজগঞ্জে ভারতীয় সূতা উদ্ধার করেছে পুলিশ   » «    “প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অন্যান্য ক্যাডারের ৫০% অন্তর্ভুক্তির পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ”   » «    ‘ক্রিসমাস ডে’ কে কেন বড়দিন বলা হয়?   » «    সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরল ২৬ বাংলাদেশি পুরুষ ও নারী   » «    চাঁদপুরে জাহাজে খুনের ঘটনায় আটক ইরফান   » «   

অর্থাভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা- জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সংগীত শিল্পী মনিরুল ইসলাম খোকন


মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:

১২০০ গানের গীতিকার, নিজের লেখা গানগুলো থেকে সুর করেছেন ১২০টির। হয়েছেন বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী। সেই বাল্যকাল থেকে সংগীতের হাতেখড়ি গুণীশিল্পী মনিরুল ইসলাম খোকনের অর্থাভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা। জীবন- মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে প্রতিটা মূহুর্ত তাকে কাটাতে হচ্ছে নিজ ঘরের শয়ন কক্ষে। অর্থ কস্টে চিকিৎসা বঞ্চিত সংগীত শিল্পী মনিরুল ইসলাম খোকনের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের খান বানিয়ারা গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত ফজলুল হক। ব্যক্তিগত জীবনে ২ সন্তানের জনক। গ্রামের বাড়িতেই স্ত্রী- সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। আধুনিক বাংলা গানের এ গুণী শিল্পী ১৯৭৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হওয়ার পর থেকে কোন রকম গানের টিউশনি করে চালাতেন তার সংসার। মাঝে-মধ্যে বেতার ও বিটিভিতে ডাক পরলে গান রেকর্ডের পর পেতেন সামান্য সম্মানী। জেলা শিল্পকলা একাডেমী থেকে বছরে পান সামান্য ভাতা।

সম্প্রতি উপজেলা  শিল্পকলা একাডেমী শিক্ষক পদ থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় উপার্জনের নেই কোন বাড়তি আয়ের উৎস। মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রতিক বিষয়ের উপর বেশ কিছু গান বিভিন্ন বেসরকারী চ্যানেলে প্রচার হলে জনপ্রিয়তা পান তিনি। খোকনকে সর্বশেষ ২০১৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশ বেতার বা টেলিভিশনে গান রেকর্ডিং এর জন্য আর ডাকা হয়নি। এরপরেই তিনি হার্ট এ্যাটাক করেন। ফলে আর কোন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনের সুযোগ পাচ্ছেন না অসুস্থ মনিরুল ইসলাম খোকন। ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৩ মাস আগে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হার্ট পাম করে না বলে চিকিৎসকরা জানান। হার্টে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সিআরটি (পেশ মেকার) মেশিন স্থাপন করতে হবে। এতে চিকিৎসকের ভাষ্যানুযায়ী খরচ হবে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা।

বর্তমান পরিস্থিতিতে মনিরুল ইসলাম খোকনের অর্থাভাবে সংসার চলছে না। চিকিৎসার ব্যয়ের কথা শুনে তার পরিবারটিতে নেমে এসেছে অনামিশার ঘোর অন্ধকার। খোকনের স্ত্রী সুফিয়া আক্তার ঝর্ণা বলেন, আশে-পাশে বিভিন্ন বাউল গানের অনুষ্ঠানে দেখা যায় শিল্পীর উপর টাকা ছিটাতে। অথচ টাকার অভাবে একজন শিল্পীকে বিনা চিকিৎসায় মরতে হচ্ছে। কখন যেন নিভে যায় জীবন প্রদীপ। তিনি স্বামীর চিকিৎসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করছেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * মনিরুল ইসলাম খোকন * সংগীত শিল্পী
সাম্প্রতিক সংবাদ