সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় সুন্দরবন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত অলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,সুন্দরবন আমার মা,কোনভাবেই এটিকে ধ্বংস হতে দিব না।সুন্দরবন দিবসকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে উদযাপন করতে হবে।সুন্দরবন এলাকায় প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য পরিবহন সম্পুর্নভাবে নিষিদ্ধ করা, সুন্দরবনের প্রাণ গাছ অবৈধ ভাবে না কাটা,বনের বাঘ ও হরিণ শিকারদের হাত থেকে বনকে বাঁচানো।বনজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি,সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে মাছের পোনা আহরণ সম্পুর্ন ভাবে নিষিদ্ধ করা,অবৈধ ভাবে মাছ, কাঁকড়া ধরা বন্ধ করতে জোরালোভাবে প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা।বনকে নিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসাসহ বনদস্যু প্রতিহত করা।সর্বোপরি প্রতিবেশ সংলগ্ন এলাকায় কোন প্রকার শিল্প ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ার অনুমতি না দেওয়া।এবং বন সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা,বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের মতো সুন্দরবনকেও ভালোবাসা সহ সুন্দরবনকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি)সকালে সাতক্ষীরা শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে বাঁচাই সুন্দরবন,বন্ধ করি প্লাস্টিক দুষণ এই প্রতিপাদ্যে সুন্দরবন দিবস পালিত হয়।দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সুন্দরবন দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি’র সভাপতিত্বে ও স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক ও সুন্দরবন দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মাধব দত্তের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, সাবেক অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ আব্দুল হামিদ,জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক এ্যাড.আজাদ হোসেন বেলাল,উত্তরণের এ্যাড.মুনির উদ্দিন, সুশিলনের সহকারী পরিচালক জি এম মনিরুজ্জামান।
এছাড়াও বক্তব্য দেন,সাতক্ষীরা জেলা বাসদের সমন্নয়ক নিত্যানন্দ সরকার, টিআইবির নতুন এরিয়া কো-অর্ডিনেটর আল আমিন, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ,এম বেলাল হোসেন,উদীচীর শেখ সিদ্দিকুর রহমান, সুরেশ পান্ডে,ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ,সিডোর নির্বাহী পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ জাসদের অধ্যাপক ইদ্রিস আলী,হেডের লুইস রানা গাইন,অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস,জেলা নাগরিক কমিটির আলি নুর খান,সনাকের রেবেকা সুলতানা,মারিয়া সুলতানা।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জেলা নাগরিক কমিটি,রুপান্তর,সুন্দরবন একাডেমি, স্বদেশ,সিডো,উত্তরণ, সুশিলন,লিডার্স, সৃজনী,হেড,ক্রিসেন্টসহজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠন সহ আয়োজক হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
সুন্দরবন দিবসের অলোচনা সভায় শেষে শহরের মিনি মার্কেট এলাকা থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে যথাস্থানেই এসে শেষ হয়।