সরকার নির্বাচিত কিছু গণমাধ্যম ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
![](https://bangla.fm/wp-content/uploads/2025/02/image-119.png)
বুধবার সকালে ঢাকার আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরায় অবস্থিত তিনটি গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেন তিনি।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে ওই বন্দিশালাগুলো ব্যবহার হতো যেগুলোর অবস্থান পুলিশের বিশেষ বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই)-এর কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বলে জানানো হয়েছে।
গত ১৫ বছরে গুমের শিকার ব্যক্তিদেরকে ওইসব বন্দিশালায় আটকে রেখে নির্যাতন করা হতো বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
“এটা একটা বীভৎস দৃশ্য!” বন্দিশালা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
“বিনা কারণে জঙ্গি আখ্যায়িত করে মানুষকে তুলে এনে এসব টর্চার সেলে নির্যাতন করা হতো,” যোগ করেন তিনি।
‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিতি পাওয়া গোপন এসব বন্দিশালা পরিদর্শনের সময় সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টাও ছিলেন অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে।
তাদের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজেরা যেসব ‘আয়নাঘরে’ বন্দি ছিলেন, সেগুলো চিহ্নিত করেন।
গত বছর জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বন্দি অবস্থা থেকে ফিরে আসার পর নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন যে তাদের তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছিল।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ আমলে গুমের শিকার জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রয়াত নেতা গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী উপদেষ্টাদের সঙ্গে ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর আরেক প্রয়াত নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে আহমেদ বিন কাশেমও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
তবে এই সফরে সঙ্গী হিসেবে ডাক পায়নি আওয়ামী লীগ আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’।