আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের বিশ্বব্যাংকের সালিশি আদালত, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্টে করা আবেদনের বিরুদ্ধে আইনিভাবে লড়াই করবে বাংলাদেশ সরকার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গভর্নর এ তথ্য জানান। তিনি এস আলম গ্রুপের সালিশি আদালতে যাওয়াকে ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তার পরিবারের আইনজীবীরা গত ২৭ অক্টোবর ওয়াশিংটনে এই আবেদন জমা দেন। আবেদনে দাবি করা হয়েছে, সরকার তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে এবং ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে ভিত্তিহীন তদন্ত চালিয়েছে। এছাড়া, পরিবারের বিরুদ্ধে ‘প্ররোচনামূলক মিডিয়া অভিযান’ পরিচালনার অভিযোগও করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বলেন, “এস আলম দাবি করেছেন তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিক। আমরা দেখাবো তিনি বাংলাদেশের নাগরিক এবং দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালক ছিলেন। আমরা মামলাটি লড়ব।”
তিনি আরও জানান, পাচার করা অর্থ বিদেশ থেকে আনতে সাধারণত কমপক্ষে ৪–৫ বছর সময় লাগে। তবে লন্ডনে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মামলার সমাধানের মাধ্যমে কিছু অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে। এছাড়া, পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে গঠিত নতুন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের জন্য ইতোমধ্যে সরকার ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
গভর্নর বলেন, “আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য কিছু প্রক্রিয়াগত বিষয় রয়েছে। পরিকল্পনা হচ্ছে, দ্রুত তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা সরাসরি জমা করা হবে।”

