আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের সবকটি সংসদীয় আসনেই প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সদ্য গঠিত নির্বাচনী জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট—এনডিএফ। এই লক্ষ্য সামনে রেখে জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ ডিসেম্বর।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির (একাংশ) দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ও জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে জোটভুক্ত দলগুলোর যেসব নেতা আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী, তাদের নির্ধারিত দিনে সাক্ষাৎকারে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ২১ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় ঢাকার গুলশান অ্যাভিনিউয়ের রোড-৪৪-এর বাড়ি নম্বর ১২১/ডি-তে জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকার দিতে বলা হয়েছে আগ্রহী প্রার্থীদের।
এ ছাড়া জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের অন্তর্ভুক্ত সব রাজনৈতিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিজ নিজ দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সাবেক দুই মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির (একাংশ) এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) এই নতুন জোটের মূল ভিত্তি। এ ছাড়া আরও ১৬টি রাজনৈতিক দল নিয়ে মোট ১৮টি দল এই জোটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
জোটভুক্ত ১৮টি দলের মধ্যে ছয়টি দলের নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। জোটের সভাপতি করা হয়েছে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে। আর জোটের প্রধান মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।
এ ছাড়া অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জনতা পার্টি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ারকে জোটের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের শরিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে— আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (জেপি), জনতা পার্টি বাংলাদেশ, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (মহসিন রশিদ), জাতীয় ইসলামিক মহাজোট, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টি, অ্যালায়েন্স ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ডেমোক্রেটিক পার্টি, জাতীয় সাংস্কৃতিক জোট, জাসদ (শাহজাহান সিরাজ), ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং গণ আন্দোলন।
নতুন এই জোটের নেতারা জানিয়েছেন, একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক ঐক্য জোরদার করতেই জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ এবং ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

