১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫:
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টা দ্রুত এগোচ্ছে, তবে দুঃখজনকভাবে কিয়েভ এই আলোচনার নেতৃত্বে নেই।
বিশ্বের দুই প্রধান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা ৯০ মিনিটের একটি গঠনমূলক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ফোনালাপ করেছেন। এটি শান্তির দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে হলেও ইউক্রেনের জন্য এটি অস্বস্তিকর হতে পারে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, যা আগের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত। এই সম্পর্কের কারণে আলোচনার পরিবেশ কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও এর ফলাফল ইউক্রেনের জন্য আশঙ্কাজনক হতে পারে।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে, তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কিয়েভ এই আলোচনার নিয়ন্ত্রণে নেই।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫:ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টা দ্রুত এগোচ্ছে, তবে দুঃখজনকভাবে কিয়েভ এই আলোচনার নেতৃত্বে নেই। বিশ্বের দুই প্রধান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা ৯০ মিনিটের একটি গঠনমূলক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ফোনালাপ করেছেন। এটি শান্তির দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে হলেও ইউক্রেনের জন্য এটি অস্বস্তিকর হতে পারে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং
আজ মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথের বক্তব্য ইউক্রেনের জন্য যেন এক শীতল বার্তা। তার বক্তব্যে স্পষ্ট যে, যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিয়েভের প্রত্যাশাগুলো ভেঙে পড়তে পারে এবং রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আগ্রাসনের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।
বিশ্ব এখন অপেক্ষা করছে, এই আলোচনা সত্যিই দীর্ঘমেয়াদী শান্তি আনবে নাকি ইউক্রেনকে কঠিন বাস্তবতার মুখে ফেলবে।
বিশ্বের দুই প্রধান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা ৯০ মিনিটের এক ইতিবাচক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ফোনালাপ করেছেন। আপাতদৃষ্টিতে এটি শান্তির পথে একটি বড় অগ্রগতি, তবে ইউক্রেনের জন্য এটি কঠিন সিদ্ধান্তের ইঙ্গিতও বহন করছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে, যা আগের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলের সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই নতুন সম্পর্কের ফলে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ মনে হলেও, ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ রক্ষিত হবে কিনা, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের কঠিন বার্তা
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ আজ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে,
- ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে না।
- ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের সম্ভাবনা নেই।
- ২০১৪ সালের আগের সীমান্ত ফিরিয়ে আনার বাস্তবিক সম্ভাবনা নেই।
এই শর্তগুলো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকারের মূল লক্ষ্যগুলোর পরিপন্থী। তদুপরি, যুদ্ধক্ষেত্রেও ইউক্রেন বর্তমানে সংকটে রয়েছে, যেখানে রাশিয়ার বিশাল সেনাবাহিনী ধীরে ধীরে আরও ভিতরে প্রবেশ করছে।
ট্রাম্পের কৌশল ও ইউরোপের ওপর দায়িত্ব চাপানো
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্রুত যুদ্ধের অবসান চান, যদিও এর মানে হতে পারে ইউক্রেনের জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ। তিনি মনে করেন, এই যুদ্ধ মূলত ইউরোপের সমস্যা এবং ইউরোপকেই এর সমাধান করতে হবে। ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি আরও বেশি করে মার্কিন অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোর দিকে, যেমন দক্ষিণ সীমান্ত নিরাপত্তা, বাণিজ্য, চীন ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত ইস্যুগুলো।
এই সপ্তাহান্তে জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠেয় উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা সম্মেলনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স ও জেলেনস্কি উপস্থিত থাকবেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রস্তাবের আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদ, বিশেষত লিথিয়ামের মতো খনিজের বিনিময়ে কোনো সমঝোতা চুক্তি হতে পারে, যেখানে ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী যুক্ত হতে পারে।
তবে আপাতত, ১২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের জন্য এক কঠিন দিন হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে, যখন একটি নতুন ও অনাকাঙ্ক্ষিত বাস্তবতা সামনে এসেছে।