চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশকে নেতৃত্বশূন্য ও মেধাহীন করার সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা একাত্তরে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যা করে জাতিকে মেধাহীন করার চেষ্টা করেছিল। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, “চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর নতুন নেতৃত্বকে ধ্বংস করতে পরিকল্পিতভাবে ওসমান হাদির ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনী যেভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে দেশকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল, ঠিক সেভাবেই জুলাইয়ের পরাজিত শক্তি আজ হাদিকে হত্যা করে দেশকে নেতৃত্বহীন ও মেধাহীন করার চেষ্টা করছে।”
সাবেক এই উপদেষ্টা আরও দাবি করেন, শুধু ওসমান হাদি নন—এ ধরনের অনেক মানুষকে পরিকল্পিতভাবে ‘হিট লিস্টে’ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, “একাত্তরে যেমন হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়েছিল, তেমনি এবারও এই ফ্যাসিবাদী ও পরাজিত শক্তি পরাজিত হবে।”
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে অপশক্তিকে শক্ত হাতে দমন করা হয়েছিল, আজও কেউ রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সফল হতে পারবে না। এই অপশক্তিকেও কঠোরভাবে দমন করা হবে।”

