অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি বলেন, এর পেছনে বিরাট শক্তি কাজ করছে এবং ষড়যন্ত্রকারীরা নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করে প্রশিক্ষিত শুটার মাঠে নামিয়েছে।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে হামলার প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি হামলাটিকে ‘সিম্বলিক’ উল্লেখ করে বলেন, এটি শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা এবং নির্বাচনের সব আয়োজন ভেস্তে দেওয়ার অপচেষ্টা। এসব মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ভবিষ্যৎ করণীয় প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, শুধু সরকার নয়—সবাইকে শক্ত থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্য থাকবে, তবে কাউকে শত্রু ভাবা বা আক্রমণের সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে। নির্বাচনী উত্তেজনা নিয়ন্ত্রিত মাত্রার মধ্যে রাখার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
বৈঠকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের পরামর্শ দিয়ে বলেন, এই পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি। পরস্পরের দোষারোপ পরিহার করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানান তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম পরওয়ার বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে একে অন্যকে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ পেয়েছে। ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে পরস্পরকে প্রতিপক্ষ বানানো থেকে সরে এসে আগের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি।
এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই কিছু গোষ্ঠী সংগঠিতভাবে অভ্যুত্থানকে খাটো করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মিডিয়া ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এ ধরনের কার্যক্রম চলছে বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর যারা ক্ষমতায় আসবে তারাও এর ভুক্তভোগী হবে এবং কেউ একা সরকার চালাতে পারবে না।

