নওগাঁ প্রতিনিধিঃ-মোঃ-হাবিবুর রহমান,
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় জাতীয় প্রতীকের শাপলা লোগো’ ব্যবহার: ভূমি কর্মকর্তার ভিজিটিং কার্ডে । সরাসরি বিধিমালায় জাতীয় প্রতীক (শাপলা, ধান ও পাটের শীষ সমন্বিত প্রতীক) ব্যবহারের কঠোর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও নওগাঁর মান্দা উপজেলার কশব ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের একজন তহসিলদার (অফিস সহায়ক তাঁর ভিজিটিং কার্ডে সেই প্রতীক ব্যবহার করায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ।
দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ ছাড়া এই প্রতীক ব্যবহারের নিয়ম না থাকায় এ নিয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষ এবং স্বয়ং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে । মান্দা উপজেলার কশব ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত তহসিলদার মাকসুদা বেগমের নামে প্রকাশিত একটি ভিজিটিং কার্ডে দেখা যায়, তিনি কার্ডের শীর্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক ব্যবহার করেছেন । জাতীয় প্রতীক (যা সাধারণভাবে ‘শাপলা লোগো’ নামে পরিচিত) ব্যবহারের বিষয়ে সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে ।
আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক কেবল মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদিত কিছু সংস্থা, দপ্তর ও পদমর্যাদার ব্যক্তি তাঁদের দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার করতে পারেন। ভূমি অফিসের একজন তহসিলদার/অফিস সহায়ক ব্যক্তিগত ভিজিটিং কার্ডে এটি ব্যবহার করা সরকারি বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নীতি নির্ধারক মহল এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । এই বিষয়ে তহসিলদার মাকসুদা বেগমের কাছে ভিজিটিং কাডে শাপলা লোগো ব্যাবহারের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান এটা আমার ভুল হয়েছে । মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, “জাতীয় প্রতীকের ব্যবহার অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্ধারিত পদমর্যাদার ব্যক্তি ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে কেউ এই লোগো ব্যবহার করতে পারেন না।
যদি কোনো তহসিলদার ভিজিটিং কার্ডে এটি ব্যবহার করে থাকেন, তবে এটি অবশ্যই বিধি বহির্ভূত কাজ হয়েছে। আমরা দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব । উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নাবিল নওরোজ বৈশাখ বিষয়টি নজরে আসার কথা জানিয়ে বলেন, “এই ধরনের ভুল যাতে আর না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দ্রুত নির্দেশ দেওয়া হবে এবং সকল ভূমি অফিসে সরকারি লোগো ব্যবহারের নিয়মাবলী সম্পর্কে পুনরায় সচেতন করা হবে ।” সাধারণ মানুষসহ সচেতন মহলের অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, ভূমি অফিসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরের কর্মচারী কর্তৃক এমন ভুল করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাঁরা আশা করেন, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জাতীয় প্রতীকের মর্যাদা রক্ষা করবে ।

