পোপ লিও চতুর্দশ ইউরোপে ‘ইসলামোফোবিয়া’কে বৈচিত্র্য ও সহাবস্থানের পথে বাধা হিসেবে দেখেছেন। তিনি বলেন, লেবাননে খ্রিস্টান ও মুসলিমদের সহাবস্থান ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার জন্য শিক্ষণীয় উদাহরণ, যা থেকে প্রকৃত সংলাপ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার পাঠ গ্রহণ করা যেতে পারে।
কয়েকদিনের তুরস্ক ও লেবানন সফর শেষ করে রোমে ফেরার পথে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) পোপ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং লেবাননের অভিজ্ঞতা ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে তার মূল্যায়ন ব্যক্ত করেন।
পোপ বলেন, “ইউরোপে মাঝে মাঝে ভয় কাজ করে, কিন্তু প্রায়ই সেই ভয়ের জন্ম দেয় যারা অভিবাসনের বিরোধিতা করে বা অন্য ধর্ম, জাতি বা দেশ থেকে আগত মানুষকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং সংলাপ সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, “লেবানন বিশ্বের কাছে দেখায় যে এখানে ইসলাম ও খ্রিস্টধর্ম একসাথে বিদ্যমান এবং সম্মানিত। সহাবস্থান ও একে অপরকে সাহায্য করার উদাহরণ, এমনকি ধ্বংসপ্রাপ্ত গ্রামগুলোতেও, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাতেও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। আমাদের ভয়ের কমে প্রকৃত সংলাপ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার পথ অনুসরণ করা জরুরি।”
লেবাননে ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধে স্থায়ী শান্তি সম্ভব কিনা জানতে চাইলে পোপ বলেন, “হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি এটি সম্ভব।” তিনি জানিয়েছেন যে, সীমিতভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প, নেতানিয়াহু এবং হিজবুল্লাহ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথোপকথন শুরু হয়েছে, তবে এটি মূলত পর্দার আড়ালে পরিচালিত হচ্ছে।
ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা এবং ইউক্রেনে ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে পোপ বলেন, “বিশ্ব শান্তির জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে ভ্যাটিকান সরাসরি যুক্ত নয়। আমরা সরাসরি সংলাপে অংশ নেই, তবে বারবার যুদ্ধবিরতি, সংলাপ ও শান্তির আহ্বান জানাচ্ছি। আজ আমরা বহুস্তরীয় সংঘাতের মুখোমুখি।”

