Bangla FM
  • সর্বশেষ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • সারাদেশ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • কলাম
  • ভিডিও
  • অর্থনীতি
  • ক্যাম্পাস
  • আইন ও আদালত
  • প্রবাস
  • বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  • মতামত
  • লাইফস্টাইল
No Result
View All Result
Bangla FM

সাতক্ষীরায় বিএনপির তিন গ্রুপের দ্বন্দ্ব, নেতাকর্মীদের আস্থায় রহমতুল্লাহ পলাশ

Nuri JahanbyNuri Jahan
12:41 pm 03, December 2025
in গ্রাম বাংলা
A A
0

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সাতক্ষীরা-২ (সদর-দেবহাটা) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে অস্থিরতার হাওয়া বইছে। এই আসনে কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মো.আব্দুর রউফ। তার এই মনোনয়নে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। তবে নেতাকর্মীদের আস্থায় যে নাম রয়েছে তিনি হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রহমতুল্লাহ পলাশ। অনেকের মতে, পলাশ ধানের শীষের প্রতীক পেলে বিএনপির মধ্যে চলা তীব্র বিভাজনের নিরসন হবে।

সরেজমিনে সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটা উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

আরও জানা গেছে, আব্দুর রউফ বিএনপির টিকিট পাওয়ায় লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলিম এবং সাবেক পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতীর কর্মী-সমর্থকরা চরম অস্থিরতা ও হতাশার মধ্যে রয়েছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, আব্দুর রউফ, আব্দুল আলিম ও তাসকিন আহমেদের মধ্যে কেউ প্রার্থী হলে বাকি দুজন ভেতরে ভেতরে বিরোধিতা করবেন। এতে ভোটের মাঠ ভেঙে পড়বে। তাই এই তিনজনকে বাদ দিয়ে নেতা-কর্মীদের পছন্দ রহমতুল্লাহ পলাশকে। পলাশই একমাত্র ব্যক্তি, যাকে তিন গ্রুপই মেনে নেবে।তিনপক্ষের বিভক্ত মাঠ তিনি আবার এক করতে পারেন।

সদরের একাধিক ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভাষ্য, রহমতুল্লাহ পলাশ পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির রাজনীতিক। তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের আস্থার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন তিনি।

এর ব্যাখ্যায় তারা জানান, চলতি বছরের শুরুতে জেলা বিএনপির গ্রুপিংয়ের কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও কেন্দ্র যখন নাখোশ ছিল সে সময় রহমতুল্লাহ পলাশকে আহ্বায়ক করায় মুহূর্তেই পাল্টে যায় জেলা বিএনপির রাজনীতি। জেলা বিএনপির গ্রুপিংয়ের কারণে অচলবস্থা থেকে কয়েক মাসের ব্যবধানে বর্তমানে প্রতিটি ইউনিটে পুনর্গঠনের পথ দেখিয়েছেন।

তাছাড়া রহমতুল্লাহ পলাশ কেবল ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতার কারণেই আলোচনায় নন; তার রাজনৈতিক শেকড়ও বেশ গভীর। তিনি রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা নেতা।

জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত ছাত্রদলের প্রথম কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটিতে নাম ছিল রহমতুল্লাহ পলাশের। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রথম কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেও জোটগত কারণে আসনটি জামায়াতে ইসলামীর জন্য ছেড়ে দেয় দলটি।

রহমতুল্লাহ পলাশের বাবা সাবেক মন্ত্রী এম মনসুর আলীরও এই এলাকায় রাজনৈতিক অবস্থান ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। ১৯৭৮ সালে কালিগঞ্জ-দেবহাটা সংসদীয় আসনে ধানের শীষ প্রতীকে বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি। পরে ১৯৯৬ সালে সাতক্ষীরা-২ আসনে আবারও ধানের শীষে নির্বাচন করেন।

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু জাহিদ ডাবলু বলেন, ‘২০১৩-২০১৬ সাল ছিল সাতক্ষীরায় সবচেয়ে ভয়াবহ সময়; ক্রসফায়ার, হত্যা, মামলা, গ্রেপ্তার সব মিলিয়ে দমবন্ধ অবস্থা। সেই সময় জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে একের পর এক আন্দোলনে সম্মুখে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন রহমতুল্লাহ পলাশ। যখন কেউ মাঠে নামার সাহস পেত না, পলাশ ভাই তখনও কর্মীদের নিয়ে আন্দোলন চালিয়েছেন। দমন পীড়নের সেই সময়টাতে তিনিই দলের একমাত্র ভরসা ছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, চলতি বছর সাতক্ষীরা-২ আসনের মোট ১৭১টি ওয়ার্ডে সদস্য নবায়নের মাধ্যমে ১৭১টি ওয়ার্ড ও ১৯ ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নির্বাচন ও সম্মেলন, এটি সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির ইতিহাসে নজিরবিহীন সাংগঠনিক কাজ। এই সব কার্যক্রমে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ সশরীরে উপস্থিত থেকে প্রতিটি ইউনিটে সংগঠন পুনর্গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। ফলে তৃণমূল পর্যায়ে তার গ্রহণযোগ্যতা এখন সবচেয়ে উঁচুতে।

এদিকে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বহিষ্কৃত সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রউফ এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি সবসময়ই বিতর্কিত। ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপি তাকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছিল। সেই সময় দলীয় চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো।

অপরদিকে, চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর চেকপোস্ট মাদ্রাসা ও মসজিদ আয়োজিত এক মাহফিলে জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ও শিল্পী কবির বিন সামাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আলোচনায় আসেন আলিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতা ব্যানারে মানববন্ধন করেন। বক্তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আব্দুর রউফকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানের পর রউফের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা বাস টার্মিনাল দখল করা হয়। তার আরেক ভাই হাবিবুর রহমান হবি ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন দখলে নেন। তারই ভাইপো আ ন ম আবু সাঈদ মূলধারার সাংবাদিকদের বাইরে রেখে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিয়ে সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাব দখল করেন। যদিও প্রশাসনের সহযোগিতায় সি অ্যান্ড এফ অ্যাসোসিয়েশন নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে বেদখলমুক্ত হয়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে তাদের দখল থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৩০ বিঘা সরকারি খাস জমি।

যে কারণে নেতাকর্মীরা আশঙ্কা করছেন, আব্দুর রউফ তার ছেলেকে গুম দেখিয়ে মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন। তাদের দাবি, রউফের ছেলে আবু সেলিম ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে গুম হয়েছেন। কিন্তু সেটিকে দলীয় কারণে গুম হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। আবু সেলিম যে সময় গুম হন, সে সময় তিনি এবং তার বাবা আব্দুর রউফ বিএনপির তেমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ ছিলেন না।

এছাড়া আরেক নেতা চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের পক্ষে জেলা ও উপজেলা বিএনপির কিছু অংশ আছে। তবে দলের ভেতরে তার বিরোধী গোষ্ঠীও শক্তিশালী। বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করার অভিযোগে রয়েছে সবসময়।

এদিকে, আরেক নেতা তাসকিন আহমেদ চিশতী তিনি সাবেক পৌর মেয়র শহর বিএনপির বড় অংশ তার অনুসারী। কিন্তু তিন গ্রুপের মাঝে তিনিই সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত। এছাড়া পৌর মেয়র থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির নানা অভিযোগ ছিল।

বিভক্তির এই সময়েই বারবার উঠে আসছে একটাই নাম রহমতুল্লাহ পলাশ। কারণ তিন পক্ষই তাকে ব্যক্তিগতভাবে সম্মান করেন, সম্পর্কও ভালো। এমনকি তিন নেতা-কর্মীদের অনুসারী দলের মধ্যে জরিপ করলে দেখা যাবে প্রার্থী না হলে পরবর্তী হিসেবে যাকে দেখতে চান একযোগে সবাই বলেন ‘রহমতুল্লাহ পলাশ’।’ নেতারা বলছেন, ঐক্য ধরে রাখতে ও দলকে সংঘাতমুক্ত রাখতে পলাশের বিকল্প নেই।

এদিকে সাতক্ষীরা-২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি পরিপক্ব, সংগঠিত ও বহু বছরের প্রতিষ্ঠিত। স্থানীয়দের মতে, জামায়াতের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রার্থী দরকার। নেতাকর্মীদের ভাষায় দুর্বল প্রতিপক্ষ দিলে ধানের শীষের ভোট অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

এই জায়গায় রহমতুল্লাহ পলাশ নিজের আত্মবিশ্বাসের কথা বলেছেন, ‘জামায়াতের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো সাংগঠনিক শক্তি, সম্মান, পরিচ্ছন্ন ইমেজ এসব দিক থেকেই আমি অন্যদের চেয়ে এগিয়ে। সাধারণ মানুষের ভোটও বেশি পাব এটা হলফ করে বলতে পারি।

বিশ্লেষকদের মতে, মনোনয়ন যদি পলাশের দিকে যায়, তিন গ্রুপ এক ছাতার নিচে আসবে, ভাঙা মাঠ আবার সংগঠিত হবে, তৃণমূলের বিভক্ত ভোট একদিকে যাবে, বিএনপি আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গায় ফিরবে, সাধারণ ভোটারের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। এক কথায়, ত্রিমুখী বিভাজন পেরিয়ে বিএনপিকে বাঁচাতে হলে পলাশ হতে পারেন চূড়ান্ত সমঝোতার মুখ।

Tags: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনবিএনপি
ShareTweetPin

সর্বশেষ সংবাদ

  • ভারত থেকে এলো বেনাপোল দিয়ে চার মাসে ১৮ হাজার মেট্রিক টন চাল
  • নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • গোপালপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত
  • মধ্যনগরে ৮৪বিদ্যালয়ে প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ নিচ্ছেন সমাপনী পরীক্ষা
  • নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জেড আই খান পান্না

প্রকাশক: আনোয়ার মুরাদ
সম্পাদক: মো. রাশিদুর ইসলাম (রাশেদ মানিক)
নির্বাহী সম্পাদক: মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ

বাংলা এফ এম , ১৬৪/১, মোহাম্মাদিয়া হাউসিং সোসাইটি, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭, বাংলাদেশ

ফোন:  +৮৮ ০১৯১৩-৪০৯৬১৬
ইমেইল: banglafm@bangla.fm

  • Disclaimer
  • Privacy
  • Advertisement
  • Contact us

© ২০২৫ বাংলা এফ এম

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist

No Result
View All Result
  • সর্বশেষ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • সারাদেশ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • প্রবাস
  • ভিডিও
  • কলাম
  • অর্থনীতি
  • লাইফস্টাইল
  • ক্যাম্পাস
  • আইন ও আদালত
  • চাকুরি
  • অপরাধ
  • বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  • ইতিহাস
  • ফটোগ্যালারি
  • ফিচার
  • মতামত
  • শিল্প-সাহিত্য
  • সম্পাদকীয়

© ২০২৫ বাংলা এফ এম