বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
সংকটের তীব্রতা: পাঁচ দিন ধরে সিসিইউতে থাকা খালেদা জিয়া গত বুধবার থেকে প্রায় সাড়াহীন ছিলেন।
সামান্য উন্নতি: তিন দিন পর গতকাল শনিবার সকালে তিনি সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলেছেন বলে চিকিৎসক ও পরিবার-ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার রাত থেকে তাঁর অবস্থায় সামান্য অগ্রগতি দেখা গেছে।
চিকিৎসকদের মন্তব্য: গত তিন দিনের তুলনায় সামান্য উন্নতি দেখা গেলেও সামগ্রিক সংকট এখনো কাটেনি।
তাঁর বর্তমান সংকটের মূল কারণ এবং চলমান চিকিৎসা হলো:
কিডনির জটিলতা: কিডনির কার্যক্ষমতা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় তাঁকে চার দিন ধরে টানা ডায়ালাইসিসে রাখা হয়েছে।
শ্বাসকষ্ট: শরীরে অতিরিক্ত তরল জমে যাওয়ায় তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়েছে, যা তাঁর অবস্থাকে আরও জটিল করেছে।
পর্যবেক্ষণ: একটানা ডায়ালাইসিসের পরও শরীরের পানি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় দ্রুত অবনতি হয়েছিল। কয়েক দিনের ডায়ালাইসিস শেষে অবস্থার ওপর ভিত্তি করে নতুন চিকিৎসা পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
দীর্ঘদিনের রোগ: ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস ও কিডনির জটিলতায় ভুগছেন।
মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত: দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য আবারও বিদেশে নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভিত্তি: বিমানযাত্রার ধকল সহ্য করার মতো শারীরিক সক্ষমতা আছে কি না, তা বিবেচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সম্ভাব্য গন্তব্য: সম্ভব হলে তাঁকে লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হবে। বিকল্প হিসেবে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হতে পারে।
বিএনপি মহাসচিবের অবস্থান: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিদেশে নেওয়ার মতো নয়, যদিও পরিবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুতের উদ্যোগ নিয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আহ্বান: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
হাসপাতালের পরিস্থিতি: অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
মির্জা ফখরুলের অনুরোধ: তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে হাসপাতালে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এতে চিকিৎসায় বিঘ্ন ঘটছে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিব্রত হচ্ছেন।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ: পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ছেলে তারেক রহমান সবার দোয়া ও ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

