বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারীদের ব্রয়লার পালনে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন দিন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মানু ফার্মস এর সহযোগিতায় ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় পশুপালন অনুষদ অনুষদীয় কনফারেন্স হলে ওই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে বাকৃবির পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ। প্রশিক্ষণে সমন্বয়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুবাস চন্দ্র দাস।
পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. বাপন দে এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির রিসার্চ সেন্টারের (বাউরেস) পরিচালক ড. মোঃ. হাম্মাদুর রহমান, ময়মনসিংহ শাখার মিউচুয়ালট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং মানু ফার্মস এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মুহাম্মদ শাহীন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি প্রফেসর ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রায় ৩০ জন খামারী, পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন বলেন, আগেকার সময় এক কেজি ওজনের মুরগি উৎপাদনে সময় লাগতো প্রায় এক বছর। আর এখন মাত্র ৩০ দিনেই একটা মুরগির ওজন দেড় কেজির বেশি হয়। তাছাড়াও এখন এমন লেয়ার জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে যেগুলো বছরে ৩’শ ২০টির বেশি ডিম দেয়। এই উন্নতির পিছনে পোল্ট্রি বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, খামারিরা খাদ্য উৎপাদনের সাথে সরাসরি জড়িত । পৃথিবীতে যতদিন মানুষ থাকবে ততদিনই খাদ্য উৎপাদনের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে ব্রয়লারের গ্র্যান্ড প্যারেন্ট স্টক ও প্যারেন্ট স্টক বিদেশ থেকে আমাদের দেশে আমদানি করতে হয়। বিদেশী কোম্পানিগুলো কোন প্রজনন পদ্ধতিতে এগুলো তৈরি করেছে সেটা কখনোই প্রকাশ করে না। মূলত এজন্যই আমরা তাদের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে আছি।
প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক অধ্যাপক সুবাস চন্দ্র দাস বলেন, বাকৃবির পোল্ট্রি ফার্মে কোনো প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক অ্যাডিটিভস ব্যবহার ব্যাতিত প্রায় তিন যুগের অধিক সময় ধরে ব্রয়লার পালন করা করা হচ্ছে। তাছাড়াও এটি খুব সুন্দর ব্রয়লার উৎপাদন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে পদ্ধতিতে ব্রয়লার পালন করি তাতে ব্রয়লারের মৃত্যু হার মাত্র ১ শতাংশ।এছাড়াও খামারিদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ সেশন সমাপ্তির পর সরজমিনে খামারীদের বাকৃবির পোল্ট্রি ফার্মে ব্রয়লার উৎপাদন প্রদর্শন করানো হয়েছে।
সুমন চক্রবর্তী
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ