নেত্রকোণা প্রতিনিধি :
নেত্রকোণার মদনে ফেকনি গ্রামের সামনের হাওর থেকে রবিবার সকালে একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে ফেকনি গ্রামের কয়েক জন কৃষক হাওরে কাজ করতে গিয়ে এই মরদেহটি দেখতে পায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আশপাশের গ্রামের শত শত লোক হাওরে ভিড় জমায় এবং পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এলাকাবাসী প্রাথমিকভাবে মরদেহটি পরিচয় শনাক্তের করতে পারেনি। সোশাল মিডিয়ার সুবাদে দুপুরের দিকে পরিবারের লোকজন থানায় এসে মরদেহটি শনাক্ত করে।
উদ্ধারকৃত মরদেহটি উপজেলা তিয়শ্রী ইউনিয়নের শ্রীধর পুর গ্রামের রহিছ মিয়ার ছেলে দিদারুল ইসলাম (২৫)। সে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বাড়িতে বসবাস করছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দিদারুল ইসলামের ৫ বোন ও ২ ভাই রয়েছে। ভাইদের মধ্যে দিদারুল বড়। বছর চার এক আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে সংসার করছিল। হঠাৎ মানািক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। গত ৫ মাস ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে বাড়িতেই বসাবাস করছিল। গতকাল শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে বাড়ি ফিরেনি। সকালে ফেকনি গ্রামের হাওরে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের চাচাতো ভাই মোবারক হোসেন জানান, দিদারুল দীর্ঘদিন আগে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে। গত ৫ মাস ধরে উল্টাপাল্টা আচরণ বেশী করছিল। বেশীর ভাগ সময় বাড়িতেই থাকতো। কিন্তু শনিবার বিকেলে কোথায় চলে যায় কেউ বলতে পারেনি। খবর পেয়ে থানায় এসে তার মরদেহ পেয়েছি। তার সাথে কারো কোন শত্রুতা ছিল না।
মদন থানার ওসি মোঃ শামসুল আলম শাহ্ বলেন, “খবর পেয়ে হাওর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে নেত্রকোণা মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লোকজন জানিয়েছে ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। তাদের মতামত অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। ”

