শিরোনাম
সিরাজগঞ্জে ভারতীয় সূতা উদ্ধার করেছে পুলিশ   » «    “প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অন্যান্য ক্যাডারের ৫০% অন্তর্ভুক্তির পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ”   » «    ‘ক্রিসমাস ডে’ কে কেন বড়দিন বলা হয়?   » «    সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরল ২৬ বাংলাদেশি পুরুষ ও নারী   » «    চাঁদপুরে জাহাজে খুনের ঘটনায় আটক ইরফান   » «   

বাকেরগঞ্জের দেউলীতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ৭৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ

বরিশাল প্রতিনিধি:
বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া  ইউনিয়নের দেউলী মোহাম্মদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল ফারাহ মো: আলী আকবর এর বিরুদ্ধে  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একই মাদ্রাসার মাদ্রাসার ইংরেজি প্রভাষক মো: ফারুক হোসেন।
অভিযোগকারী মো: ফারুক হোসেন জানান, আমি বিধি মোতাবেক অত্র মাদ্রাসায় সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু অধ্যক্ষ মহোদয় আমার কাছে উক্ত পদোন্নতি বাবদ ৫০,০০০ টাকা উৎকোচ দাবি করেন, না দিলে আমাকে পদোন্নতি দেয়া হবে না, তাই আমি বাধ্য হয়ে পরবর্তী সময়ে অধ্যক্ষ মহোদয়কে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি ।
গত ১৩ মে ২০২৩ গভর্নিং বডির সভায় আমাকে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে পদোন্নতি প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রেজুলেশন সম্পন্ন করেন়। কিন্তু অধ্যক্ষ মহোদয়ের ভাগিনা মুহাম্মদ এনায়েতুর রহমান প্রভাষক আরবি এর চাকরির বয়স ৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অধ্যক্ষ পদোন্নতির ব্যাপারে গড়িমসি শুরু করেন।
অধ্যক্ষ পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আমাকে আচরণ বিধি লঙ্ঘন দেখিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে ৫ সেপ্টম্বর ২০২৩ তারিখ শোকজ নোটিশ প্রদান করেন।
লিখিত অভিযোগে  আরো জানা যায়, মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমানের এমপি ও ভুক্তি হয় ২০১৫সালে। অন্যদিকে ফারুক হোসেনের এমপিও ভুক্তি হয় ২০১৪ সালে। অথচ অধ্যক্ষ এমপিও ভুক্তির নীতিমালা ২০১৮/২০ পর্যন্ত সংশোধিত ১৩ নং অনুচ্ছেদ অবমাননা করে মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমানকে উক্ত পদে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য ফারুক হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার ষড়যন্ত্র করছেন।
ইবতেদায়ী প্রধান ও শিক্ষক প্রতিনিধি মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ জানান বিগত সময়ে শিক্ষকদের স্কেল পরিবর্তন,নতুন এপিওভুক্তিকরন সহ বিগত ১০ বছরে প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের অনুদান সহ প্রতিষ্ঠানের আয়ের   প্রায় ৭৩ লাখ টাকার হিসাব বিবরণীতে গরমিল রয়েছে, উক্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় আমাকেও শোকজ নোটিশ করেছেন এবং আমাকে চাকুরীচ্যুত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে পরিকল্পনা করতেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার জানান, অত্র মাদ্রাসায় সরজমিনে গিয়েছিলাম, উভয় পক্ষের বক্তব্য  শুনেছি, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * অধ্যক্ষ * আত্মসাৎ * বরিশাল
সাম্প্রতিক সংবাদ