শাহাদাৎ বাবু,
নোয়াখালী-০৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী ফখরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের মনোনয়নের দাবিতে কবির হাটে কাফনের কাপড় গায়ে দিয়ে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নেতাকর্মীদের দাবি, এ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রাপ্ত ফখরুল ইসলাম তার হৃদয়ে বিএনপিকে ধারণ করেননা। তিনি ছদ্মবেশে বিএনপি’র রূপ ধারণ করেছেন। কার্যত তিনি জামায়াতে ইসলামীর প্রোডাক্ট। তার কার্যকলাপ আচার-আচরণ ও জামায়াত প্রীতি তিনি পরিবর্তন করতে পারেননি। যে কারণে তিনি নিজের অপকর্ম ঢাকতে গিয়ে আমাদের কেন্দ্রীয় অনেক শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে কটুক্তি করে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। সঙ্গত কারণে স্থানীয়ভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে তিনি এখানকার কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার নেতাকর্মীদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আমরা এই ফখরুল ইসলামকে বয়কট করলাম। যদি এই ফখরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা না হয় তবে আমরা আরও বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাব। আগামীতে গণ স্বাক্ষর কর্মসূচি দেব, তারপরেও যদি বিএনপি’র হাই কমান্ডের টনক না নড়ে তবে আমরা গণহারে পদত্যাগ করব।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে কবিরহাট উপজেলা বাজার জিরো পয়েন্টে হাজারো নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে কাফনের কাপড় গায়ে দিয়ে অভিনব পন্থায় এ প্রতিবাদী জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের আগে কবিরহাট বাজারের পশ্চিম মাথা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দক্ষিণ-পূর্ব মাথা থেকে আবার জিরো পয়েন্টে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্য বলেন, দলের পরিক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে উড়ে এসে জুড়ে বসা ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়াতে এখানকার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষেরা ফখরুল ইসলামের দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। ফখরুল ইসলামের জামাত সম্পৃক্ততার কথা মানুষের মুখে মুখে। মানুষ চায়না তিনি জামাতরূপে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে দলীয় নেতাকর্মীদের ধোকা দিক।
বক্তারা বলেন, যে ব্যক্তি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুকসহ প্রয়াত নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে কটুক্তি করতে পারে সেই নেতা কারো জন্য নিরাপদ নয়। নির্বাচিত হওয়ার আগেই তিনি এমন বেপরোয়া আর নির্বাচিত হলে তো কাউকে তোয়াক্কাই করবেন না তিনি।
বক্তারা আরো বলেন, প্রয়াত নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এর পরে এই অঞ্চলের মাটি ও মানুষের নেতা বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ। কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটের প্রতিটি জনপদে রয়েছে বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের সুসংঘটিত তৃণমূল বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। তারা বলেন, আবেদ শুধু নোয়াখালীর নেতা নয়, তিনি সমগ্র বাংলাদেশের নেতা, ছাত্র নেতৃত্বের আইডল, আমাদের নোয়াখালীর গর্ব। সেই নেতাকে কটাক্ষ করে ফখরুল ইসলাম। আন্দোলন সংগ্রামের কঠিন কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে সুসময়ে এসে আজ আমাদের অস্তিত্বে হানা দিচ্ছে ঘাপটি মেরে থাকা শকুন। আজ আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা আজ হতাশায় নিমজ্জিত। তাই আমরা চাই এখানকার তৃণমূল বিএনপিকে বাঁচাতে হলে, ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হলে, অনতিবিলম্বে ফখরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্য যোগ্য নেতৃত্বেকে মনোনয়ন দিতে হবে। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা ফখরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।
কবিরহাট পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও কবিরহাট পৌরসভা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক আবুল বাশারের সভাপতিত্বে ও কবিরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মিলনের সঞ্চালনায় এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আবু বাহার যুগ্ম-আহ্বায়ক কবিরহাট উপজেলা বিএনপি, আবু হানিফ যুগ্ম আহ্বায়ক কবিরহাট পৌরসভা বিএনপি, আরাফাতের রহমান হাসান (সাবেক সভাপতি কবিরহাট উপজেলা যুবদল, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কবিরহাট উপজেলা বিএনপি, দেলোয়ার হোসেন যুগ্ন আহবায়ক কবিরহাট পৌরসভা বিএনপি, আবুল কাশেম যুগ্ম আহ্বায়ক কবিরহাট পৌরসভা বিএনপি, এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মিজানুর রহমান হারুন সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদল, আব্দুল কুদ্দুস যুগ্ম-আহ্বায়ক কবিরহাট পৌরসভা বিএনপি মাকসুদুর রহমান মাসুদ, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক কবিরহাট পৌরসভা যুবদল,আছান উল্ল্যাহ মোহন আহবায়ক কবিরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবকদল, বেলাল হোসেন সাবেক প্রচার সম্পাদক কবিরহাট উপজেলা বিএনপি,জহরুল ইসলাম মামুন যুগ্ম-আহবায়ক কবিরহাট পৌরসভা যুবদল, ইমতিয়াজ আহমেদ রিজন সভাপতি কবিরহাট সরকারি কলেজ, আবুল কাশেম বিপ্লব যুগ্ন আহবায়ক কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদল, ইব্রাহিম ফরহাদ যুগ্ন আহবায়ক কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদল, জাফরউদ্দিন জুয়েল যুগ্ম আহ্বায়ক কবিরহাট ছাত্রদল।

