আশুলিয়ায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় পুড়িয়ে হত্যা করা ছয়জনের মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির নাম আবুল হোসেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর নির্দেশে তার মরদেহ কবর থেকে তুলে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী, তাকে ইতিমধ্যে জুলাই শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আবুল হোসেনের মরদেহ আশুলিয়ার আমবাগান গোরস্তানে দাফন করা হয়েছিল।
এই মামলার বিচারকার্য পরিচালনা করছেন ট্রাইব্যুনাল-২-এর তিন সদস্যের বেঞ্চ—
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী (অধ्यक्ष)
বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ
বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর
তারা ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মরদেহ উত্তোলন ও পরিবারকে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নিহত আবুল হোসেনের স্ত্রী লাকি আক্তার, যিনি কুমিল্লার মুরাদনগর থানার ফুলঘর গ্রামের বাসিন্দা।
গত বছরের ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ রয়েছে—
আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালানো হয়।এতে বেশ কয়েকজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পরে রাতেই আশুলিয়া থানার অদূরে, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে ‘পুলিশ’ লেখা একটি পিকআপে অন্তত দুটি মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
একই রাতে থানার সামনেও একটি মরদেহ আগুনে পুড়ে যায়। আর দুই পুলিশ সদস্যের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পদচারী সেতুতে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এই ঘটনায় মোট ছয়টি পুড়ানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল; এদের প্রথম জন হিসেবে আবুল হোসেনের পরিচয় শনাক্ত হলো।
পরবর্তী পদক্ষেপ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে—
মরদেহ উত্তোলন,ফরেনসিক প্রতিবেদন সংরক্ষণ এবং মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা হবে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।







