জয়পুরহাট-২ আসনে (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকরা সোমবার ১০ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারে চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছেন।
এ সময় তারা সদ্য মনোনয়ন পাওয়া সাবেক সচিব ও ঢাকার সাবেক জেলা প্রশাসক আব্দুল বারীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান এবং অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বিএনপির জন্য কাজ করা পরীক্ষিত নেতা গোলাম মোস্তফাকে বঞ্চিত করে একজন বহিরাগত অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি কোনো সময় রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেননি। অতিথি পাখির মতো হঠাৎ এলাকায় এসে মনোনয়ন পেয়েছেন—এতে আমরা হতাশ।”
বিক্ষোভকারীরা সদ্য মনোনীত প্রার্থী আব্দুল বারীকে ‘অতিথি পাখি’ আমলা আখ্যা দিয়ে “অতিথি পাখিকে চাই না, বারীকে মানি না, মানবো না” বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
মশাল মিছিলে নেতৃত্ব দেন গোপীনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আপেল মাহমুদ বকুল, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির রানা, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান, সাবেক সহ-সভাপতি আবুল খায়ের, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শরিফ মেম্বারসহ ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী।
বিক্ষোভ-পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, জয়পুরহাট-২ আসনের রাজনৈতিক বাস্তবতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ একজন অবসরপ্রাপ্ত আমলাকে মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তাঁকে রাজনৈতিক মাঠে কখনও দেখা যায়নি। তিনি দুর্দিনে কোনো আন্দোলন বা সংগ্রামেও অংশ নেননি। আমাদের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী রয়েছে ইতিমধ্যে আমাদের কর্মীর সমর্থকরা জামাতে যোগদান শুরু করেছে ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা ভাইকে মনোনয়ন না দিলে এই আসনটি জামাতের দখলে যাবে৷
মশাল মিছিলে অংশগ্রহণকারী একজন কর্মী বলেন স্বৈরাচারীর আমলে ক্ষেতলাল নিশ্চিন্তা বাজার এলাকায় পেট্রোল বোমা মামলার আসামি এবং জাফর জেলা পুলিশের গাড়ি পড়েছে সেই মামলার আসামি আমি দাওয়াত তোর দেন কারা ভোগ করেছি ইঞ্জিনার গোলাম মোস্তফা আমার জামিন করিয়েছে আমার পরিবারের দেখভাল করেছে তখন তো এবারই সাহেব এলাকায় ছিল না সুখে দুঃখে আমরা ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা ভাইকেই চাই৷ অন্য কাউকে মানি না মানবো না৷
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আপেল মাহমুদ বকুল বলেন, আমরা গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে আওয়ামী শাসনামলে দুঃসময়ে রাজপথে ছিলাম। কিন্তু আব্দুল বারীকে এলাকায় কখনো দেখা যায়নি। পরিস্থিতি বদলের পর অতিথি পাখির মতো এসে মনোনয়ন নিয়েছেন। তার মনোনয়ন অবিলম্বে বাতিল করা হোক।

