অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। নির্বাচনের আগে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি। যদিও তিনি এখনো নির্দিষ্ট কোনো আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা তা জানাননি।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান আসিফ মাহমুদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং শুভকামনা জানিয়েছেন তার রাজনৈতিক যাত্রার জন্য।
সোমবার নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান লিখেছেন,
“উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের জন্য শুভকামনা রইল। সরকারে যারা উপদেষ্টা হিসেবে আছেন এবং ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসতে চান, তারা পদত্যাগ করলেই সরকারের নিরপেক্ষতা আরও বাড়বে। এই দিক থেকে আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়।”
তিনি আরও বলেন, উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার সময় আসিফ মাহমুদকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে, কিন্তু সব দোষ কেবল তার নয়। সরকারের সিনিয়র উপদেষ্টারা যদি তরুণ উপদেষ্টাদের যথাযথভাবে দিকনির্দেশনা দিতেন, তবে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।
রাশেদ খান তার পোস্টে উল্লেখ করেন,
“আসিফ মাহমুদের কিছু ভুল থাকতে পারে, কিন্তু তরুণ বয়সে ভুল হওয়া স্বাভাবিক। তবে তিনি একবার এমন একটি ৭ শব্দের লাইন বলেছেন, যা ইতিহাস বদলে দিয়েছিল — ‘পরশু নয়, কালকেই লং মার্চ টু ঢাকা!’”
এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়েই ৬ আগস্টের লং মার্চ এগিয়ে এনে ৫ আগস্টে আয়োজনের নায়ক হয়ে ওঠেন আসিফ মাহমুদ।
শেষে রাশেদ খান আশা প্রকাশ করেন, আসিফ মাহমুদ ভবিষ্যতে নিজের ভুল শুধরে সচেতনভাবে রাজনীতি করবেন এবং জনগণের ‘নেতা’ নয়, বরং ‘সেবক’ হিসেবে কাজ করবেন।

