গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে কিছুটা অগ্রগতি হলেও এখনো ভয়াবহ সংকট বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ইসরায়েলের অবরোধ ও সীমিত প্রবেশপথের কারণে খাদ্য, পানি ও ওষুধসহ জরুরি সরঞ্জাম সরবরাহে বড় বাধা তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, “যুদ্ধবিরতির পর ত্রাণ সহায়তা জোরদারে কিছু অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু মানুষের তীব্র চাহিদা এখনো পূরণ হয়নি। সহায়তা প্রবেশে নানা বাধা এখনো রয়ে গেছে।”
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় প্রায় ৩৭ হাজার মেট্রিক টন ত্রাণ (মূলত খাদ্যসামগ্রী) প্রবেশ করেছে। তবে এটি গাজার জনগণের মোট প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল।
এতে বলা হয়, বর্তমানে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে মাত্র দুটি রুট দিয়ে—আল কারারা বা কিসুফিম ও কারেম আবু সালেম (কেরেম শালোম) সীমান্ত। উত্তর গাজা বা মিসরের দিক থেকে সরাসরি কোনো রুট খোলা হয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মীরাও মাঠ পর্যায়ে প্রবেশে বাধার মুখে পড়ছেন।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে সব সীমান্তপথ অবিলম্বে খুলে দিতে হবে, যাতে পর্যাপ্ত খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানো যায়। সংস্থাটি আরও জানায়, উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত বন্ধ রাখার বিষয়ে ইসরায়েল এখনো কোনো যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা দেয়নি।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ মানুষকে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও জীবন-মৃত্যুর দৌড়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

