চীন তাদের পাল্টা শুল্ক (tit-for-tat tariffs) কার্যকর করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও উষ্ণ করে তুলেছে। এই নতুন শুল্ক যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে, যার মধ্যে কৃষিপণ্য, প্রযুক্তিপণ্য এবং বিভিন্ন ভোক্তাসামগ্রী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে মার্কিন কৃষকদের ওপর এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, কারণ চীন তাদের অন্যতম বড় বাজার ছিল।
চীনের নতুন শুল্ক কী নিয়ে আসছে?
![](https://bangla.fm/wp-content/uploads/2025/02/image-79-1024x683.png)
🔸 যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পণ্যের ওপর শতকরা ২৫% পর্যন্ত শুল্ক বসানো হয়েছে।
🔸 কৃষিপণ্য, ইলেকট্রনিক্স ও শিল্পজাত পণ্যগুলোর ওপর বিশেষভাবে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
🔸 চীনের সরকার বলেছে, এটি মার্কিন প্রশাসনের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে “ন্যায্য প্রতিক্রিয়া”।
বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে মার্কিন কৃষকদের ওপর এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, কারণ চীন তাদের অন্যতম বড় বাজার ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে বলে আভাস দিয়েছে। বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চলমান শুল্ক যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল (supply chain) ব্যাহত করতে পারে এবং অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন যে, এই শুল্ক যুদ্ধের ফলে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। ইতিমধ্যে শেয়ারবাজারে ওঠানামা শুরু হয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও খারাপ হতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন আলোচনা করে একটি সমঝোতায় না আসে, তাহলে এই শুল্ক যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
📌 আপনার মতামত কী? আপনি কি মনে করেন যে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের কোনো সমাধান আসবে? মন্তব্য করুন!