📌 আন্তর্জাতিক ডেস্ক | Bangla.fm
গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, গাজার দখল বা প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, সে বিষয়ে তারা “সব ধরনের বিকল্প” বিবেচনা করছে। তবে জাতিসংঘ এ ধরনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এটিকে “গাজাবাসীদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ইঙ্গিত” বলে উল্লেখ করেছে।
🔹 যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, গাজার নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক কাঠামো কীভাবে পরিচালিত হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন বিকল্প বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেননি, এটি সামরিক দখল, নতুন শাসন কাঠামো, নাকি আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেছেন,
“আমরা গাজার দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চাই এবং এ বিষয়ে সব ধরনের সম্ভাবনা বিবেচনায় রাখছি।”
🔹 জাতিসংঘের কড়া বার্তা
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “যদি গাজার জনগণকে জোরপূর্বক স্থানান্তর করা হয়, তবে এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হবে এবং জাতিগত নির্মূল (ethnic cleansing) হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।”তিনি আরও বলেন, “গাজা ফিলিস্তিনি জনগণের অংশ, এবং তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেখানে নতুন শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।”
🔹 ইসরায়েলের পরিকল্পনা কী?
ইসরায়েল এখনো গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ইসরায়েল গাজার নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর নিরবচ্ছিন্ন নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চায়। কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, গাজায় দীর্ঘমেয়াদি ইসরায়েলি সামরিক উপস্থিতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
🔹 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
- তুরস্ক বলেছে, “গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হলে ফিলিস্তিনি জনগণের মতামতই গুরুত্বপূর্ণ।”
- সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “গাজার দখল বা প্রশাসন নিয়ে বাইরের শক্তিগুলোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনৈতিক এবং বিপজ্জনক।”
🔹 বিশ্লেষকদের মতামত
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজার ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে। এর ফলে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
🔹 ভবিষ্যৎ কী?
বিশ্ববাসীর নজর এখন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও জাতিসংঘের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। গাজার ভবিষ্যৎ কীভাবে নির্ধারিত হবে, তা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে।
📌 বিস্তারিত খবর ও আপডেট জানতে Bangla.fm-এ থাকুন!