ঢাকা প্রতিনিধি:
এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস না নিয়ে অন্য কাজে নিয়োজিত, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরার।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
“অনেক শিক্ষক আছেন, যারা ক্লাস না নিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। যেহেতু সরকার এমপিও কার্যক্রমের আওতায় তাদের নিয়োজিত করছে এবং বেতন দিচ্ছে, তাই তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আইনের মধ্যেই বেশ কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তবে সরকার সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করেনি। এবার আমরা আইনের আওতায় থেকেই বড় পরিসরে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করব। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যে ঘাটতি রয়েছে, তা স্কুলের মাধ্যমেই শোধরানো হবে।”
ড. আবরার জানান, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে খারাপ ফলাফল হয়েছে—অর্থাৎ শূন্য বা ১০ শতাংশের নিচে পাসের হার—সেসব প্রতিষ্ঠানের ফলাফলের কারণ অনুসন্ধান করা হবে। পাশাপাশি যেসব প্রতিষ্ঠান ধারাবাহিকভাবে ভালো ফল বজায় রেখেছে, তাদের প্রধানদেরও ডাকা হবে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির জন্য।
তিনি বলেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা গেলে ফলাফল উন্নত করা সম্ভব—আমরা তার যথার্থ উদাহরণ পেয়েছি। অনেক প্রতিষ্ঠান যথাযথ যাচাই ছাড়াই এমপিওভুক্ত হয়েছে, যেগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত। সেই প্রেক্ষিতে নন-পারফর্মিং প্রতিষ্ঠানগুলো মার্জ করা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।”
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, “যেসব প্রতিষ্ঠানে এক বা দেড়শ শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় মাত্র ১০-১২ জন, অথচ ১৫-২০ জন শিক্ষককে বেতন দিতে হয়—সরকার এমন অপচয় রোধের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।”
 
			 
			






