জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করেছেন। সেই অবস্থায় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ব্যাপক প্রস্তুতি প্রয়োজন হওয়ায় অযৌক্তিক। তিনি উল্লেখ করেন, যে বিষয়গুলোতে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে তা গণভোট প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি, ফলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা জাতিকে বিভক্ত করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে—এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং সংসদীয় প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। একইভাবে জুলাই সনদ সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সরাসরি গণভোটে উপস্থাপন করা হবে, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও ভিন্নমত উপস্থাপনের সুযোগ রাখা হয়নি।
ফখরুল অভিযোগ করেন, দীর্ঘ আলোচনার পরও কিছু দফা অগোচরে সংশোধন করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার উপেক্ষা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যান্য সংগঠন জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাস্তব সংস্কারের পক্ষ নিয়ে এসেছে এবং রাষ্ট্র কাঠামোর প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংস্কার বিএনপির প্রধান রাজনৈতিক এজেন্ডা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।







