কাঠবাদাম পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কমে, হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায় এবং রক্তস্বল্পতা দূর হয়। এছাড়া চুল ও ত্বকের জন্যও এটি উপকারী।
কাঠবাদামের নিয়মিত সেবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো:
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কাঠবাদামে থাকা রাইবোফ্লাভিন ও এল-ক্যারনিটিন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৪-৬টি ভেজানো বাদাম খেলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয় এবং আলঝেইমারের ঝুঁকি কমে।
হার্ট সুস্থ থাকে। কাঠবাদামে প্রচুর প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ই থাকে, যা হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সহায়ক।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, কাঠবাদাম ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি কোলন ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়ক।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদামে থাকা ফসফরাস ও সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কাঠবাদাম খেলে ক্ষুধা কমে এবং অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হওয়ার সম্ভাবনা কমে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। বাদামে মনো-স্যাচুরেটেড ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, কিন্তু ট্রান্স ফ্যাট থাকে না। ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার মাধ্যমে শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব এবং নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি কমানো যায়।







