আমিনুল ইসলাম খন্দকার,
মারাইংতং পাহাড়ে ম্রো জনগোষ্ঠীর জুম চাষের ভূমি দখল ও অবৈধভাবে রিসোর্ট নির্মাণের প্রতিবাদে বান্দরবানের লামা উপজেলায় মানববন্ধন করেছে সাংগু মৌজার স্থানীয় বাসিন্দারা।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) লামা উপজেলা পরিষদের সম্মুখ সড়কে সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সাংগু মৌজাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- নামা উপজেলার সাংগু মৌজা হেডম্যান চামপাত ম্রো, বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তনয়া ম্রো ও সদস্য কাইনপ্রে ম্রো, স্থানীয় মুক্তারাম ত্রিপুরা কারবারী, ফলে ম্রো, পাক ম্রো ও সাকতাই ম্রো প্রমুখ।
এ সময় ‘ধর্মের নামে ম্রোদের ভূমি দখল বৃদ্ধ করো, করতে হবে’, ‘মংক্যনু মার্মা হেডম্যান হয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ও মারাইতং পাহাড় নিয়ে মিথ্যাচার কেন?’ উঃ উইচারা ভিক্ষু গং রিসোর্ট করলে ধর্মের অবমাননা হয়না কেন?’ ‘মারাইতং ধর্মজাদী পরিচালনা কমিটি সীমানা নির্ধারণে এত ভয় কিসের?’ এমন শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড হাতে শত শত স্রো সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, লামা উপজেলার ২৮৫নং সাংগু মৌজার ম্রো সম্প্রদায়ের জুমভূমি উঃ উইচারা ভিক্ষু ও তৈন মৌজা হেডম্যান মংক্যনু নেতৃত্বে ধর্মকে ঢাল করে মারাইতং পাহাড়ে বেআইনীভাবে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, ১৯৯২ সালে তৈন মৌজায় ৫ একর ও সাংগু মৌজায় ৫ একর মোট ১০ একর জমি মারাইংতং পাহাড়ের বৌদ্ধ জাদী নির্মাণের জন্য বন্দোবস্তি দেওয়া হয়। তখন একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় জদি নির্মাণ করা হয়। আমরাও বৌদ্ধ ধর্মালম্বী, আমরা এর বিরোধী না, ভান্তের বিরুদ্ধেও না। কিন্তু এখানে ধর্মের নামে, ধর্মকে পুঁজি করে ম্রো জনসাধারণের ভূমি নিয়ে যারা ছিনিমিন খেলে, তাদের বিরোধী আমরা। উঃ উইচারা ভিক্ষু ও তৈন হেডম্যান মংক্যনু মার্মাসহ একটি চক্র ধর্মকে ব্যবহার করে ম্রো জনগোষ্ঠির জুম ভূমি জবর দখলের চেষ্টা করে রিসোর্ট নির্মাণের পায়তারা করছেন।
বক্তারা বলেন, সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর (রোববার) লামা ও আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা ও থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় দুই উপজেলা প্রশাসনের যৌথ সিদ্ধান্তে দুই উপজেলার সীমানা বিরোধ চিহ্নিত ও বিহারের (বৌদ্ধ জাদী) ১০ একর ভূমি পরিমাণ করে বুঝিয়ে দিতে গত ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার বিরোধীয় ভূমি পরিমাপ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় তৈন মৌজা হেডম্যানও এতে সম্মতি প্রদান করেন। কিন্তু উঃ উইচারা ভান্তে ও মংক্যনু মার্মা চক্রটি সাংগু মৌজাস্থ ম্রোদের ভূমি জবর দখল অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে ভূমি পরিমাপের দিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিমাপের কাজ বানচাল করেন। আলীকদমের ভূমি আলীকদমকে আর লামার সাংগু মৌজার নিরীহ ম্রো জুম চাষিদের ভূমি ফিরিয়ে দেওয়া হউক।







