বিধান মন্ডল (ফরিদপুর,প্রতিনিধি):
ফরিদপুরের সালথায় বাসরঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে জামাল ফকির (২৭) নামে এক যুবক গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার করেছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দিনগত রাতে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জামাল ফকির ওই গ্রামের রজো ফকিরের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , জামাল ফকির প্রেমের সম্পর্ক করে পাশ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার পুড়াপাড়া ইউনিয়নের দুলালী গ্রামের লিটন ভূইয়ার মেয়ে রোকেয়া ওরফে মিতালী বেগম (১৮) কে গত ২১শে অক্টোবর নোটারী পাবলিকের কার্যালয় ফরিদপুর কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে দুইজনের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
পরে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩শে অক্টোবর) বিকেলে উভয় পক্ষের অভিভাবকদের সিদ্ধান্তক্রমে বরযাত্রী করে নববধূ কে বাড়িতে আনা হয়। রাতে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সকলে এক সাথে রাতের খাবার খাওয়া শেষ করে প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থানে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। জামাল ফকির ও রোকেয়া স্বামী স্ত্রী হিসেবে একই রুমে বাসর ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় রাতে কোন এক সময়ে সকলের অজান্তে জামাল ঘর থেকে বের হয়ে তার বসতবাড়ির উত্তর পাশে চকের মধ্যে আঁখ চাষের জমিতে (বর্তমানে ফসল বিহীন) থাকা বাঁশের আড়ার সাথে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে জামাল কে ঘরে না পেয়ে খুঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তার আপন বড় ভাই দুলাল ফকির ও কামাল ফকির ঘটনা স্থল থেকে লাশ নামিয়ে বসতবাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে পুলিশ কে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে।
নিহতের স্ত্রী নববধূ রোকেয়া ওরফে মিতালী বেগম বলেন, রাতে আমরা একসঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলাম। কখন তিনি ঘর থেকে বের হয়েছেন, তা আমি বুঝতে পারিনি। সকালে লোকজনের চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙে, তখন জানতে পারি তিনি মারা গেছেন।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।







