দুমকি(পটুয়াখালী,প্রতিনিধি):
পটুয়াখালীর দুমকির লেবুখালী–বগা মহাসড়কের পাশে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের রাজাখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় প্রথমবারের মতো টেকসই শিল্প, পরিবেশ রক্ষা ও প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে ‘আলপথ লিমিটেড’ নামে নতুন কারখানা।শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় কারখানা চত্বরে এক উৎসবমুখর পরিবেশে এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডোভ। সভাপতিত্ব করেন নাসরিন জাহান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাবেক জেলা প্রশাসক ও একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলহাজ্জ আজিজ উদ্দিন আহমেদের নাতি তৌকির আহমেদ শাবাব। এ সময় কো-পার্টনার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমান সুজয়, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও পরিচালক ফাহাদ মেহেদী, মার্কেটিং ম্যানেজারসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদার, আজিজ আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষ আহসানুল হক, এবং উত্তর মুরাদিয়া বশিরিয়া দারুচ্ছুন্নাৎ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আঃ রব।
এ সময় উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম শাহীন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন হাওলাদার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান, সাইদুল ইসলাম খান, মাইনুল হাসান সোহেল, সহিদুল ইসলাম সরদার, সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুছা ফরাজি এবং উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ শাহাদাত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, ঢাকায় ‘আলপথ’ গ্রুপের গার্মেন্টস ইউনিট ইতোমধ্যে পাট, লেদার ও জিও ফ্যাব্রিকের ব্যাগ তৈরি করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও করপোরেট পর্যায়ে সরবরাহ করছে। স্কুল ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, অফিস ব্যাগ থেকে শুরু করে কনভোকেশন ও সেমিনারের জন্য ব্যবহৃত ব্যাগ—সব ধরনের পণ্যই উৎপাদন করা হচ্ছে এ ইউনিটে।
এরই ধারাবাহিকতায় দুমকীতে চালু হয়েছে পরিবেশবান্ধব কাটলারিজ ফ্যাক্টরি। এখানে সুপারি খোল দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্লেট, চামচ, গ্লাস, লবণদানি, আটা চামচ ও ছুরি—যা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এসব পণ্য সভা-সেমিনার, বাসা-বাড়ি ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় ব্যবহারের উপযোগী।
তৌকির আহমেদ শাবাব বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কেবল একটি ব্যবসা নয়—পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যৎ গড়া। দুমকির মাটিতে এটি হবে ইতিহাস সৃষ্টি করা একটি উদ্যোগ।’
তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে প্রায় ৫০ টন প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার (রিসাইকেল) করার লক্ষ্যে কাজ করছে।







