সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, “আমরা চাই নির্বাচন কমিশন স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করুক—কোন আইনের ভিত্তিতে শাপলা প্রতীক কোনো রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে এনসিপিকে বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। আমাদের আইনজ্ঞ, বিশ্লেষক ও আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে একাধিকবার পরামর্শ করার পর আমরা নিশ্চিত হয়েছি—আইনগতভাবে এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক প্রদানে কোনো বাধা নেই। তাই আমরা আইনসম্মতভাবে আমাদের প্রাপ্য প্রতীক দাবি করেছি।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১টায় দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এনসিপির জেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, “আমরা যখন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিলাম, তখনই ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়েছিলাম। কিন্তু গত কয়েক মাসে নির্বাচন কমিশন তাদের প্রকাশিত প্রতীকের তালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করেনি। এর পেছনে নিশ্চয়ই কমিশনের নিজস্ব গাফিলতি, অবহেলা বা খামখেয়ালিপনা রয়েছে। আবার এটি কোনো প্রভাব বা চাপের ফলেও হতে পারে—যার কারণে তারা প্রয়োজনীয় সাহস দেখাতে পারেননি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের মতে, যে নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে তার ন্যায্য প্রতীক দিতে সাহস পায় না, সেই কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তবুও আমরা আশাবাদী, আমরা ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়েই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। যদি আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়, আমরা সেই অন্যায়ের রাজনৈতিক মোকাবিলা করব।”
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে সারজিস আলম বলেন, “অভ্যুত্থানের আগে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই রাস্তায় নেমে কর্মসূচি দিত, কিন্তু জনগণ সাড়া দিত না। অনেক দলের অফিসে তখন দশজন লোক দাঁড়ানোর মতো জায়গাও থাকত না। অথচ যখন জনগণ নিজেরাই রাস্তায় নেমেছে, তখনই পরিবর্তনের ধারা শুরু হয়েছে। এখন যদি জনগণের সেই প্রত্যাশার প্রতিদান কেউ না দেয়, ভবিষ্যতে নাগরিকরা তার যথাযথ প্রতিফলন দেখাবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক ফয়সাল করিম সোয়েব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ এবং যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও হেড অব হেলথ উইং নির্বাহী কাউন্সিল সদস্য ডা. আব্দুল আহাদ প্রমুখ।
সভায় দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, নাগরিকদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে এনসিপি শাপলা প্রতীকের মাধ্যমেই জনগণের আস্থা অর্জন করবে।







