ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার ২০২৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বড় জয়কে স্বাগত জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ঘোষণা করেন, ‘উন্নয়ন ও সুশাসন বিজয়ী হয়েছে।’
মোদি হিন্দিতে বলেছেন, ‘আমার সব ভাই-বোনকে অভিনন্দন ও প্রণাম, বিজেপিকে ঐতিহাসিক বিজয় দেওয়ার
![](https://bangla.fm/wp-content/uploads/2025/02/image-50-1024x592.png)
জন্য…আপনাদের সবার প্রতি আমি হৃদয়ের গভীর থেকে কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি, দিল্লির সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং এখানকার মানুষের জীবনমান উন্নত করতে কোনো প্রচেষ্টায় কমতি রাখব না…পাশাপাশি একটি উন্নত ভারত গঠনে দিল্লি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, তা-ও নিশ্চিত করব।
মোদি বলেন, ‘আমি আমার বিজেপির সব কর্মীর প্রতি অত্যন্ত গর্বিত, যারা এই বিশাল ম্যান্ডেটের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। এখন আমরা দিল্লির জনগণের সেবায় আরো দৃঢ়ভাবে নিবেদিত থাকব।’
![](https://bangla.fm/wp-content/uploads/2025/02/image-51-1024x592.png)
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এক্সে পোস্ট করে বলেন, মোদি ‘দিল্লির হৃদয়ে আছেন’ এবং ভোটাররা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ‘শিসমহল’ (বিজেপির দেওয়া তার বিলাসবহুল বাসভবনের উপহাসমূলক নাম) ধ্বংস করে দিয়েছে। শাহ বলেন, ‘যারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে, দিল্লি তাদের শিক্ষা দিয়েছে…এটি তাদের জন্যও উদাহরণ হয়ে থাকবে, যারা ভুয়া প্রতিশ্রুতি দেয়।
![](https://bangla.fm/wp-content/uploads/2025/02/image-52-1024x592.png)
তুলনামূলকভাবে আপ ২০১৫ সালের নির্বাচনে ৬৭টি ও ২০২০ সালে ৬২টি আসনে জয় পেয়েছিল। অন্যদিকে বিজেপি ২০১৫ সালে মাত্র তিনটি ও ২০২০ সালে আটটি আসন জিতেছিল। ২০২০ সালের নির্বাচনে আপ ও বিজেপির মধ্যে ভোটের ব্যবধান ছিল ১৫ শতাংশ। তবে এবারের নির্বাচনে বিজেপি মধ্যবিত্ত ভোটারদের করছাড় বৃদ্ধি ও নারীদের সরাসরি নগদ সহায়তার মাধ্যমে এই ব্যবধান ঘুচিয়েছে।
বিজেপির বিপুল জয়ের পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজের আসনেও পরাজিত হন।
![](https://bangla.fm/wp-content/uploads/2025/02/image-53-1024x592.png)