নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, নির্বাচনের বিধিমালায় ‘শাপলা’ প্রতীক অন্তর্ভুক্ত না থাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) সরাসরি এটি বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। ১৯ অক্টোবরের মধ্যে যদি এনসিপি প্রতীকের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়, কমিশন নিজেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানান, এনসিপি শাপলা প্রতীক চেয়ে অনড় অবস্থান নিয়েছে এবং এই বিষয়ে তারা একাধিকবার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক ও চিঠি পাঠিয়েছে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিশন এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এই দুই দলের প্রতীকসহ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে।
নির্বাচন কমিশন ৩০ সেপ্টেম্বর এনসিপিকে তফসিলে থাকা ৫০টি প্রতিক থেকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে পছন্দ জানাতে চিঠি দিয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে এনসিপি প্রতীকের পছন্দ না জানিয়ে বিধি সংশোধন করে শাপলা বরাদ্দের দাবি জানায়। কমিশন এখনও শাপলা প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়ার অবস্থানে অনড়।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “শাপলা প্রতীক তালিকায় নেই, তাই এটি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমাদের নীতি অনুযায়ী তালিকায় নতুন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন নেই।”
এনসিপি ইতিমধ্যে জানিয়েছে, শাপলা ছাড়া তারা নিবন্ধন গ্রহণ করবে না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, শাপলার বাইরে অন্য প্রতীক বরাদ্দ দিলে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিতিশীলতা হতে পারে কি না তা সময়ের বিষয়।
প্রতীক বরাদ্দের নীতিমালা:
১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের সময় বিচারপতি আব্দুর রউফ কমিশন প্রতীক বরাদ্দের জন্য পাঁচটি নীতি নির্ধারণ করেছিলেন:
১৯৭৯ এবং পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলদের বরাদ্দকৃত প্রতীক যথাসম্ভব বজায় থাকবে।
রাজনৈতিক দলের বর্তমান ও অতীত সদস্য সংখ্যা, পূর্ববর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ফলাফল বিবেচনায় রাখা হবে।
বিশেষ প্রতীকের জন্য আবেদন করা দলকে সেই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
একাধিক দল একই প্রতীক চাইলে সমঝোতার চেষ্টা; ব্যর্থ হলে কমিশন স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে বরাদ্দ দেবে, প্রয়োজনে লটারি করা হবে।
একাধিক পছন্দ থাকলে, কমিশন যতটা সম্ভব দলের পছন্দ বিবেচনায় রাখবে।