ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চলমান থাকা অবস্থায় পাঁচজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, এই পাঁচজন কথিত ‘হলুদ সীমা’ বা যুদ্ধবিরতির রেখা অতিক্রম করেছিলেন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) গাজা সিটির সেজায়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর একদিন আগেই ইসরায়েল নিজেদের ২০ জীবিত জিম্মিকে মুক্ত করে আনার ঘোষণা দিয়েছিল। তার পরদিনই এই হত্যাযজ্ঞ চালালো তারা।
আইডিএফ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর তাদের সেনারা একটি নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থান নেয়, যেটিকে তারা ‘হলুদ সীমা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের কাছে এই সীমার অবস্থান অজানা।
ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, মঙ্গলবার সকালে কয়েকজন ফিলিস্তিনি ওই সীমার কাছে চলে আসে। তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রথমে ভয়ভীতি দেখানো হয়। কিন্তু তারা না সরে গেলে সরাসরি গুলি ছোড়া হয়।
দখলদার সেনারা আরও বলেছে, নিহতদের ‘হুমকি হিসেবে’ বিবেচনা করা হয়েছিল। তবে তাদের কাছে কোনো অস্ত্র ছিল কি না—সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে,
“আমরা গাজার বাসিন্দাদের সতর্ক করছি—ইসরায়েলি সেনাদের কাছে আসবেন না, আমাদের নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে চলুন।”
গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি। এর অংশ হিসেবে গতকাল হামাস ২০ জীবিত জিম্মি এবং চারজনের মৃতদেহ ইসরায়েলের হাতে তুলে দেয়। অপরদিকে ইসরায়েল দুই হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়।