উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
নড়াইলের নড়াগাতী থানার গ্রাম রামপুরা শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ৬০ বছর বয়সী বাবলু খান তাঁর স্ত্রী মোসাঃ আঞ্জুমান ওরফে পপিকে মারধর করতে গেলে, পপি দৌড়ে গিয়ে প্রতিবেশী লাভলু খান ওরফে লাবু এর বাড়িতে আশ্রয় নেন। এই সময় বাবলু খানের ছেলে সাজ্জাদুল আলম খাঁন ওরফে বাপ্পি ডাশা নিয়ে লাভলু খানের উপর আঘাত করেন। প্রতিরোধ করতে গিয়ে লাভলু খান হাসুয়া নিয়ে এসে বাবলু খানকে মারাত্মক জখম করেন। পাশাপাশি তাঁর ছেলে রাব্বি খান উপস্থিত হয়ে বাপ্পির উপর কোপ দিয়ে গুরুতর আহত করেন।
আহতদের প্রথমে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তারা অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে অংশ নেওয়া বাবা–ছেলেকে প্রথমে পুঠিমারি গ্রামের আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে এবং বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নড়াইলের পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামের নির্দেশে নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় উপপরিদর্শক (এসআই) মুরাদ হোসেন, এসআই আজিজুর রহমান, পিএসআই ইমরান হোসেন ও এসআই জাহাঙ্গীর আলম অভিযান চালিয়ে লাভলু খান ও রাব্বি খানকে থানায় নিয়ে আসেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুটি বাশের হাতলযুক্ত লোহার সড়কি ও একটি কাঠের হাতলযুক্ত লোহার হাসুয়া।
ওসি আশিকুর রহমান বলেন, “পারিবারিক কলহের ঘটনায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দেশীয় অস্ত্রসহ দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এলাকা শান্ত রয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গ্রামবাসীরা জানান, পারিবারিক কলহের ঘটনায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে।