মোঃ হারুন উর রশিদ, স্টাফ রিপোর্টার,
নীলফামারীতে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহালের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের (বিএফএ) নীলফামারী জেলা ইউনিট।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংগঠনটির জেলা ইউনিটের আয়োজনে নীলফামারী প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কৃষি উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলনে সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ নিয়ে সমন্বিত নীতিমালা ২০২৫ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এটাকে আমরা যুগ উপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছি। তবে ইউনিয়ন ভিত্তিক তিন জন করে সার ডিলার নিয়োগের মাধ্যমে ওয়ার্ড পর্যায়ে ডিলার নিয়োগের যে খসড়া প্রস্তুত করেছেন তা বিতরণ ব্যবস্থায় কখনও সুফল বয়ে আনবে না। হঠাৎ করে কি এমন হলো যে ওয়ার্ড পর্যায়ে ডিলার নিয়োগ দিতে হবে। আমরা সরকারের এ জাতীয় সিদ্ধান্তের সাথে একমত না। তাই এ বিষয়ে পুর্নিবিবেচনার আবেদন করছি।
সভাপতি আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডিলারদের পরিবহন খরচ ও বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ জ্বালানির দাম একাধিকবার বাড়লেও পরিবহন খরচ সমন্বয় করা হয়নি। একইভাবে ব্যাংক সুদ, গুদাম ভাড়া, কর্মচারীর বেতন, লোড-আনলোডসহ অন্যান্য খরচ বাড়লেও ডিলারদের কমিশন অপরিবর্তিত রয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, একই পরিবারে বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী বা ভাই-ভাই আলাদা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলে এবং সরকারের শর্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করতে পারলে তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা যাবে না।
আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ডিলারসিপ থাকবে। কৃষি মন্ত্রণালয় চাচ্ছে পুরো নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকবে। এজন্য তারা এ প্রকৃয়া বাস্তবায়ন করতে চায়। আমরা মনে করি এসবের সাথে যারা জড়িত তাদের উদ্দেশ্যে সৎ না। এর পেছনে একটা অসৎ উদ্দেশ্য আছে। তাই জাতীয় সিদ্ধান্ত নিতে হলে স্থানীয় পর্যায়ের ডিলারদের মতামত নিতে হবে বলে মনে করি।
এসময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার সাহা, সহ-সভাপতি রজব আলী আহমেদ,চিত্ত সরকার, রশিদুল হক, কোষাধক্ষ্য পলি রানীসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।







