নাজমুল হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
কিছু কিছু রাজনৈতিক দল বিভিন্ন ভাবে কথাবার্তা বলেন যে নির্বাচন আসুক সব ভোট সেন্টার দখল করে আমরা জিতে নিবো,আমি সেই বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, জামায়াতে ইসলাম কোন কচুরিপানার মত ভেসে আসা সংগঠন নয় । বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম কোনো ভুঁইফোর সংগঠন নয়। আপনাদের হুমকি-ধামকিতে আমরা মাঠ ছেড়ে দিবো, এটা কিভাবে ভাবতে পারলেন? আমরা সেই বন্ধুদের বলতে চাই হুমকি ধামকি দিবেন না জনগণের কাছে যান, জনগণ যদি আপনাদেরকে পছন্দ করে ভোট দেয় আমাদের কোন আপত্তি নাই। কিন্তু হুমকি ধামকি দিবেন না।
তিনি আরো বলেন, যদি জোর করে হুমকি ধামকি দিয়ে সেন্টার দখল করতে চান, তাহলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আপনাদের সেই হাত অবশ করে দিবে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সেক্রেটারি আলমগীর হোসাইন।
এসময় তিনি আরো বলেন, এই নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দিবে তিনিই রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন। যদি কেউ জোর করে ক্ষমতা দলের চেস্টা করেন তাহলে আমরা এক ইঞ্চিও ছাড় দিবো না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে বলবো জামায়াতে ইসলামি যে পাঁচ দফা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছে সেগুলো আগামী নির্বাচনের আগেই মেনে নিন এবং সেই ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন দেন। যদি না করেন তাহলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আপনাদের বিরুদ্ধে জনগণকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
এর আগে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ২৬সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় উপজেলা শাখার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় হাই স্কুল মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক, জুলাই চত্বর প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চৌরাস্তা মোড়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়, ব্যানার, স্লোগানে সজ্জিত হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে মিছিলটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বন্দর চৌরাস্তা মোড়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন- ঠাকুরগাঁও-৩(রাণীশংকৈল-পীরগঞ্জ) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জামা য়াতের নায়েবে আমির মিজানুর রহমান মাষ্টার,জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আলমগীর হোসাইন, উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটরী মাওলানা রজব আলী। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কেন্দ্র ঘোষিত ৫দফা দাবিতে রাণীশংকৈলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঠাকুরগাঁও জেলা সেক্রেটারী মতিউর রহমান, উপজেলা সহকারি সেক্রেটারী মিন্নাতুল্লাহ পাঠান, যুব বিভাগ সভাপতি মোকাররম হোসাইন,পৌর আমির আব্দুল মাতিন বিশ্বাস, জেলা যুব বিভাগের সভাপতি শাহ জালাল জুয়েল, জেলা শিবির সভাপতি সাদিকুল ইসলাম মুন্না সহ নেতৃবৃন্দ। পরে একই স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় অন্যন্য বক্তারা বলেন, দেশে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি ছাড়া কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তারা অভিযোগ করেন, পিআর ছাড়া নির্বাচন মানে দিনের ভোট রাতে করার প্রস্তুতি, যা জনগণ আর কখনও মেনে নেবে না। দেশের জনগণ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চায়। পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্য চায়। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ন্যায় আবার যেনো কোন দল বা গোষ্ঠী ফ্যাসিস্টরূপে আবির্ভূত হতে না পারে সেজন্য ক্ষমতার ভারসাম্য আনা প্রয়োজন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পিআর পদ্ধতি কার্যকর আছে। পাঁচ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল পেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করতে হবে।