দেশ যখন নির্বাচনমুখী, তখন সংসদের উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধি) পদ্ধতি চালু এবং জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি নিয়ে জামায়াতে ইসলামিসহ সাতটি রাজনৈতিক দল বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন শুরু করেছে। তবে বিএনপি ও অন্য কিছু রাজনৈতিক দল এ উদ্যোগকে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, নির্বাচনের অনিশ্চয়তা ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সামাজিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করবে। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির বন্ধ, বিনিয়োগের অভাব ও কর্মসংস্থান হ্রাস ইতিমধ্যেই সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে উগ্রপন্থার উত্থান এবং পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির সুযোগ তৈরি হতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন, চলমান আলোচনা চলাকালীন মাঠে কর্মসূচি নেওয়া সঠিক নয়। তবে জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “আন্দোলন জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশের জন্য প্রয়োজন।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, দেশের রাজনৈতিক সরকার না থাকায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ, বিনিয়োগ আটকে আছে এবং নির্বাচন বিলম্ব দেশের জন্য বিপজ্জনক। ব্যবসায়ী নেতারা আশাবাদী, সুষ্ঠু ও সময়মতো নির্বাচন বিনিয়োগ ও অর্থনীতির জন্য দরকার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “নির্বাচনের দায়িত্ব এখন রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। তারা যদি সমঝোতায় আসতে না পারে, অনিশ্চয়তা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং এর পরিণতি সবার জন্য অমঙ্গলজনক হবে।”