পিতা হারালেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবাদত

সদরুল আইন:
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবাদত হোসেন চৌধুরীর বাবা ও সাবেক বিজিবি সদস্য নিজাম উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে সিলেট ওয়েসিস হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামে। তবে বর্তমানে তিনি একই ইউনিয়নের রুকনপুর গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এবাদত হোসেন চৌধুরীর বাবা সাবেক বিজিবি সদস্য নিজাম উদ্দিন চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। নিয়মিত তার চিকিৎসাও চলছিল।
 শারীরিকভাবে অনেকটাই সুস্থও ছিলেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে তিনি হঠাৎ কিছুটা অসুস্থবোধ করেন। এসময় তাকে সিলেটে হাসপাতালে নিয়ে রওনা দেন এবাদত হোসেন চৌধুরী।
কিন্তু পথেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে সিলেট ওয়েসিস হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে এবাদতের বাড়ি রুকনপুরে গিয়ে দেখা গেছে, এবাদতের বাবা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করছেন আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বাবাকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবাদত ও তার পরিবার। এসময় অনেকে তাদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন।
এবাদত হোসেন চৌধুরীর জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন; উন্নত চিকিৎসাও চলছিল। সম্প্রতি তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়। চিকিৎসকরাও বলেছিলেন, বাবার শারীরিক অবস্থাও ভালো।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে আমি নিজেই তাকে নিয়ে সিলেটে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম।  কিন্তু হঠাৎ পথেই বাবা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন, তা কখনও কল্পনা করিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।
শিক্ষক এমরান হোসেন নামুন বলেন, ক্রিকেটার এবাদত হোসেন চৌধুরীর বাবা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী চাচা খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় ছেলে-মেয়ে, অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শুক্রবার সকাল ১১টায় কাঁঠালতলী ঈদগাহ প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে।

সর্বশেষ

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Add New Playlist