ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে যে, জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র কর্মীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করেছে। মঙ্গলবার ভোট শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে লিখিতভাবে এই অভিযোগ জানায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ করেন। রাকিব অভিযোগ করে বলেন, উপাচার্য ও প্রক্টর জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন এবং নির্দিষ্ট প্রার্থীকে জেতাতে প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, “নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু থেকেই ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং প্রশাসন নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করেছে।”
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির জানান, জামায়াত ও শিবিরের সশস্ত্র বহিরাগতরা ক্যাম্পাসের আশেপাশে অবস্থান নিয়েছিল এবং শিক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নির্বাচন চলাকালে এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট করেছে।”
তবে, উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন যথাযথভাবে কাজ করেছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিরাপদ রাখতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল এবং কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের খবর আমাদের কাছে আসেনি।”
নির্বাচন পরবর্তী এই অভিযোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে যে তারা অভিযোগ খতিয়ে দেখছে, কিন্তু ছাত্রদল নেতারা বলছেন যে তারা তাদের অভিযোগের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চান।

