শেখ হাসিনার অর্থের বিনিময়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের অভিযোগসহ রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া, শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে তার বিভিন্ন বিদেশ সফরের বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ডক্টরেট ডিগ্রি সংগ্রহ করেছেন।
দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, সরকারি অর্থ ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে তিনি যেসব ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলস, এবং ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গেছে, এসব ডিগ্রি ও পদক সংগ্রহে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে বা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী চুক্তির বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আক্তার হোসেন জানান, দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে, যা পর্যালোচনা শেষে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সাল পর্যন্ত সরকারের কাছে বিমানের প্রায় ৫০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে তুলে ধরা হয়েছে দুদকের নথিতে।
দুদকের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ভুয়া ডক্টরেট’ সংগ্রহ করেছেন বলেও তুলে ধরা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, “দেশের সরকারি টাকা লবিস্ট এর পিছনে ব্যয় করে মানদণ্ড ভঙ্গ করে সংগ্রহকৃত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভুয়া ডক্টরেট হল-ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় অব ব্রাসেলস, ভারতের বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
“জানা যায় তিনি যে সকল পদক ও ডিগ্রি সংগ্রহ করেছেন তার প্রায় সবগুলোর পিছনে প্রচুর খরচ বা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি চুক্তির বিনিময়ে বাগিয়ে নিয়েছেন।”
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। সে দিন ভারতে পালিয়ে যান তিনি। তার পরিবারের অন্যরাও দেশের বাইরে।