ভোক্তা অধিকারকে চিনির বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ বাণিজ্যমন্ত্রীর
সদরুল আইনঃ
নির্ধারিত মূল্যে বাজারে চিনি বিক্রয় করা হচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ নির্দেশের কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েই চলেছে। যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য ট্যারিফ কমিশনকে বলা হয়েছে।
তারা জানিয়েছে- দেশের চিনির দামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মূল্যের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। সেটা আমরা সমন্বয় করবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিনির ওপর যে শুল্কহার নির্ধারণ করা আছে, তা কমানো অথবা ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে অনুরোধ করবো। এটা করা হলে চিনির দাম কিছুটা কমানো সম্ভব হবে।
টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারে দাম কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং হ্রাসকৃত মূল্যে তেল বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। কিন্ত যেসব পণ্য আমদানি করতে হয় সেসব পণ্যের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে বাজারে বিক্রি করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, দেশে চিনি ও ভোজ্যতেলের চাহিদার বিপরীতে প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। এই দুই পণ্যের দাম ওঠানামা করে, কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশের বাজারে তার প্রভাব পড়ে।
এর আগে বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও মেডিসিনাল প্ল্যান্টস এন্ড হারবাল প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আয়ুর্বেদিক ওষুধ শিল্প একটি প্রাচীন চিকিৎসাব্যবস্থা, যা মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে এর উন্নয়ন ও বিকাশে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশসমূহ আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিদেশে রপ্তানি করে থাকে।
আমরাও আমাদের দেশে উৎপাদিত আয়ুর্বেদিক ওষুধ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারি। এ জন্য সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। এ লক্ষ্য পূরণে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
টিপু মুনশি বলেন, সম্ভাবনাময় এ খাতকে কাজে লাগাতে হলে গবেষণার ক্ষেত্র বাড়াতে হবে। এছাড়া এর উপরকারিতা সকলের কাছে পৌঁছাতে হবে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে।
আমরা অতিমাত্রায় এন্টিবায়টিকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। আয়ুর্বেদিক ওষুধ এন্টিবায়টিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।