নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে আবারও ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। সবজি, মুরগির ডিম ও মাছের উচ্চমূল্যের সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে আটা, ময়দা ও মসুর ডালের দাম বৃদ্ধি। তবে চিনি ও কিছু মসলার দামে সামান্য স্বস্তি মিলেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা আটার কেজি ৬–১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫–৪৮ টাকায়। প্যাকেটজাত দুই কেজি আটার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০–১১৫ টাকা। ময়দার কেজিপ্রতি দাম বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা, আর দুই কেজি প্যাকেট ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডালের বাজারেও বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। ছোট দানার মসুর ডালের দাম দুই সপ্তাহে কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৫০–১৬০ টাকা। মোটা দানার ডাল ১০৫ টাকা, মুগডাল ১২০–১২৫ টাকা এবং ছোলা ১১০–১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের মুদি বিক্রেতা মো. ইমাম হাসান বলেন, “আটা ও ময়দার বাজারে সরবরাহ সংকট রয়েছে। বড় কিছু প্রতিষ্ঠানের প্যাকেট এখনও বাজারে আসেনি। খুচরায়ও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বিক্রয়মূল্য বাড়াতে বাধ্য হচ্ছি।”
চালের বাজারেও উর্ধ্বমুখী প্রবণতা রয়েছে। মিনিকেট চালের দাম সামান্য কমলেও ডায়মন্ড, মঞ্জুর ও সাগর চাল ৮০ টাকা, রশিদ ৭২ টাকা, মোজাম্মেল মিনিকেট ৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫–৯৫ টাকা, ব্রি–২৮ চাল ৬০ টাকা ও মোটা স্বর্ণা চাল ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোলাও চালের কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
সবজির বাজারে অধিকাংশ পণ্যই ৬০–৮০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের বাদামি ডিম কমে ১৪০ টাকায় এলেও ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৯০–৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর, টাউন হল, আগারগাঁও ও কারওয়ান বাজারের ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতিদিনের বাজার খরচ সামাল দেওয়া এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গম ও ডালের আমদানি কমে যাওয়ায় দামের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। তবে নতুন আমদানি এলে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে পারে।