দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকিতে ওএমএস’র সরকারী চাল বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশায় থাকা ১১বস্তায় ৫শ ৫০ কেজি চাল আটক করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার(৪ফেব্রুয়ারি) দিবাগত-রাত ১০ টায় উপজেলার লেবুখালী ইউনিভার্সিটি স্কয়র এলাকায় উপস্থিত হয়ে চাল জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহীন মাহমুদ এবং ডিলারের গুদাম সিলগালা করে দেন।
হতদরিদ্রদের কাছে বিক্রি না করে গোপনে বেশী মূল্যে বিক্রির জন্য গুদাম থেকে স্থানীয় মালেক শিকদারের দোকানে চাল পাঠিয়ে দেয় ডিলারের ভাগিনা উপজেলা কৃষকলীগের সা.সম্পাদক জহির হাওলাদার।
জানা যায়, দুমকি উপজেলার ২নং লেবুখালী ইউনিয়নে খোলা বাজারে (ওএমএস) হতদরিদ্রদের জন্য জন প্রতি ৫কেজি ৩০টাকা দরে বিক্রির জন্য নির্ধারিত ডিলার ছিলেন খলিল শিকদার। এসব চাল সরকারী নিয়ম মেনে নির্ধারিত পরিমান ও মুল্যে বিক্রি না করে চড়া দামে বিক্রি করেছেন সংশ্লিষ্ট ডিলার এর ভাগিনা কৃষকলীগ নেতা জহির হাওলাদার।
এ বিষয় ডিলার খলিল শিকদার বলেন, জহির খাদ্য বান্ধব এর ডিলার ছিলেন, তার ডিলার মেয়াদ শেষ হলে এ গুদামে চাল রেখে ব্যবসা করেন। জহির থেকে আমি গুদাম ঘরের অর্ধেক ভাড়া নিয়ে ওএমএস’র চাল রাখি। আমার ১টন চাল এখনো গুদামে আছে। জহির তার মালিকানাধীন চাল বিক্রি করেছে। এ চাল আমার না এবং আমি এর সাথে কোন রকম জড়িত নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শাহীন মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে উপস্থিত হয়ে ১১ বস্তা চাল জব্দ করে ডিলারের গুদাম সিলগালা করে দেই। দুমকি থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মো.সুমন মৃধা
দুমকি(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি