জেলা প্রতিনিধি,কুমিল্লা।
তুই বহুত বাইরা গেছত যেকোন সময় মাইরা তোর লাশ গোমতী নদীতে ফালাইয়া দেমু। তুই সাংবাদিক তাই তোরে নিয়া কুমিল্লার সাংবাদিকরা নিউজ করে। মামলা না তুললে লাশের অস্তিত্বও তোর পরিবার খুঁজেও পাইবো না। প্রশাসনকে আমরা পকেটে রাখি। মঙ্গলবার (৪আগষ্ট) দুপুরে কুমিল্লা ধর্মসাগরের পশ্চিম পার্শ্বের রাস্তায় দুটি মোটর সাইকেলে করে চারজন হেলমেট পড়া লোক স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবধিকার কর্মী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্রকে এসব কথা বলে দ্রুত পালিয়ে যায় হুমকি দাতারা। মামলা তুলে নেন নইলে এর পরিনতি ভাল হইব না।
শুভ্র জানান আমি একটি কাজে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। পূর্ব দিকের গেইট দিয়ে বের হওয়ার পর অল্প একটু দূরে গেলে তারা এসব হুমকি ধামকি দিয়ে দ্রুত জায়গা ত্যাগ করে।
মানবধিকার কর্মী শুভ্র জানান,জি আর মামলার ৪১/৮৫০ মূল আসামী ৮ জনকে গ্রেফতার ও এজহার নামীয় আসামিদের সহ অজ্ঞাতনামা এফ আই আর / জি আর মামলা রেফারেন্স গ্রেপ্তার অভিজান করার আদেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,আমি এই দু’টি বিষয় নিয়ে দুই মামলা করেচি। আমার নিরাপত্তার ব্যাপারে আমি ইতোমধ্যে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,র্যাব কোম্পানি কমান্ডার- ১১ সি পি সি ২,অধিনায়ক, কুমিল্লা সেনাক্যাম্প
সেনাবাহিনী কর্নেল জিএস, কুমিল্লা ডিজিএফ আই কুমিল্লা সেনানিবাস, যুগ্মপরিচালক – এন এস আই কুমিল্লা জেলাসহ সকলে লিখিত ভাবে অভিযোগ দিয়েছি। আদালতের মামলার কপি, থানার এফ আই আর কপি এবং অত:পর কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় নিরাপত্তা জনিত অনলাইন সাধারণ ডায়েরি ( জি ডি) সংযুক্তি দিয়ে সকলের বরাবরে বিশেষ আইনগত সুরক্ষা ও প্রশাসনিক নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করি।
মঙ্গলবার রাতে এ ব্যাপারে মামলার আইও খাজু মিয়া জানান, এজহার নামীয় মামলার আসামীরা ঢাকাসহ জেলার বিভিন্ন দ্রুত জায়গা পরিবর্তন করার ফলে তাদেরকে ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে। আশাকরছি অতিদ্রুত তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারব।
কুমিল্লা কোতওয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহিনুল ইসলাম বলেন, আমরা আসামীদেরকে আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করতে সচেষ্ট আছি। এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার স্যারেরও নির্দেশনা দেয়া আছে।
সাকলাইন যোবায়ের কুমিল্লা
৫-১২-২০২৪