পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিবাদমান সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে মুবিন (২৩) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে পৌর শহরের নিউ মার্কেট এলাকার প্রিন্স হোটেলের সামনের রাস্তায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় আধিপাত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিবাদমান সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে মুবিন ও তামিম শামীম (২৩) নামের দুই তরুণ গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত মুবিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত মুবিন মঠবাড়িয়া বাজার সমিতির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী মহারাজের ছোট ছেলে ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধার ভাগ্নে।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের বাসিন্দা মুবিন ও রনির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে বুধবার বিকেলে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রবিনের পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মুবিন ও তামিম শামীমকে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে মুবিন বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহতের মামা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধা বলেন, উপজেলা যুবদলের কাউন্সিল নিয়ে এ বিরোধের শুরু। এর জেরে আমার ভাগ্নে যোদ্ধা মুবিন নিহত হয়েছে। আমাকেও প্রতিপক্ষরা হত্যার হুমকি দিয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। যুবকের পরিবার থেকে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।