জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজকর্মী ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, “স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা যেন আর ফিরে না আসে, সে লক্ষ্যেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, নির্বাচন, সংবিধান, স্থানীয় সরকার ও শাসন ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কারের একটি খসড়া জাতীয় ঐকমত্য সনদ প্রস্তুত করা হয়েছে, যা সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে।
বাঁশের হাট ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সনাক), দিনাজপুর।
ড. মজুমদার বলেন,
“আমরা এমন একগুচ্ছ সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছি, যাতে নির্বাচন ব্যবস্থা, সংবিধান, স্থানীয় সরকার ও শাসনব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক শাসনের ভিত্তি শক্ত হয়। এই সনদ সরকারের কাছে জনগণের পক্ষ থেকে একটি বার্তা—স্বৈরাচার যেন আর না আসে।”
তিনি জানান, সরকার ইতিমধ্যে ১১টি সংস্কার কমিটি গঠন করেছে। এর মধ্যে ৬টি কমিটির প্রধানদের নিয়ে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠিত হয়েছে। এই কমিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস।
কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে—
- জাতীয় পর্যায়ে একটি গণতান্ত্রিক ঐকমত্য গড়ে তোলা
- রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একমত হওয়া
- এমন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার নিশ্চিত করা, যাতে স্বৈরাচারী শাসনের পুনরাবৃত্তি না ঘটে
সংলাপে অংশগ্রহণ
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সনাক) দিনাজপুর জেলা সভাপতি মো. বেলাল উদ্দীন শিকদার রুবেল।
রংপুর বিভাগ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার নেতাকর্মীরা সংলাপে বক্তব্য রাখেন।
সংলাপে অংশ নেন শতাধিক সাংবাদিক, সমাজকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।