চট্টগ্রাম নগরের রৌফাবাদ এলাকায় ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্ত্রীর ১১ টুকরা করে হত্যা করেছেন স্বামী মো. সুমন আলী। র্যাব জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর স্ত্রী ফাতেমা বেগমের শরীরের অংশগুলো ঘরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রাখেন তিনি। পরে সবাই টের পেয়ে গেলে ফ্ল্যাটের গ্রিল ভেঙে ১০ তলা থেকে পালিয়ে যান। র্যাব–৭, র্যাব–৯ এবং সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে। শনিবার চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় র্যাব–৭-এর মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ঘটনার দিন, ৯ জুলাই রাতে বায়েজিদ থানাধীন রৌফাবাদ পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির ওই ফ্ল্যাটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফাতেমাকে কুপিয়ে হত্যা করেন সুমন। বিকট শব্দ পেয়ে ভবনের নিরাপত্তাকর্মী মশিউর রহমান ফ্ল্যাটে যান। অনেকক্ষণ পরে সুমন দরজা খুললেও এলোমেলো কথা বলতে থাকেন। সন্দেহ হওয়ায় মশিউর জোর করে ভেতরে ঢুকে রক্তাক্ত কাপড় ও শরীরের অংশ দেখতে পান। এরপর তিনি নিচে নেমে লোক ডাকতে গেলে সুমন গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানায়, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী গ্রামের বাসিন্দা তিনি। ১০ বছর আগে ফাতেমার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কর্মসংস্থানের জন্য সৌদি আরবে যান এবং গত বছর দেশে ফিরে পিকআপ চালানো শুরু করেন। দেশে ফেরার পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে তার দাম্পত্য কলহ বাড়তে থাকে। ৯ জুলাই রাতেও ঝগড়ার একপর্যায়ে দুটি চাকু দিয়ে স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
ঘটনার পর নিহতের ভাই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বায়েজিদ থানায় মামলা করেন। র্যাব জানিয়েছে, আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।