সমাপ্তী খান, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ২১ জন শিক্ষক পদোন্নতি পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ জন সহযোগী অধ্যাপক থেকে এবং ৫ জন অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
রেজিস্ট্রার অফিস থেকে চিঠির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পদোন্নতির বিষয়টি সকলকে জানায় । এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ২৪৯ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রাপ্তরা হলেন অর্থনীতি বিভাগের ড. মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম লিটন, ফার্মেসী বিভাগের ড.মোঃআশরাফ আলী,পরিসংখ্যান বিভাগের ড.মাশফিকুল হক চৌধুরী, পরিসংখ্যান বিভাগের ড.সৈয়দ মহিবুল হোসেন এবং বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের(বিএমবি) ড.মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রাপ্তরা হলেন ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের (সিপিএস) মোঃ আওরঙ্গজেব আকন্দ, নিলুফার ইয়াসমিন, সুমনা শারমিন,মাহমুদা আক্তার, অর্থনীতি বিভাগের রোকসানা আখতার,ছাবিহা বিনতে হাসান, রসায়ন বিভাগের পীযূষ কান্তি রায়,ড. শারমিন সুলতানা, গণিত বিভাগের সঞ্জয় কুমার সাহা,মোঃ শফিকুল ইসলাম (তুহিন),ফার্মেসী বিভাগের মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (সিএসই) লুবনা ইয়াসমিন পিংকি,বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের (বিএমবি) মেরিনা খাতুন,সায়মা সাবরিনা, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সুব্রত বণিক ও ইংরেজি বিভাগের ইফতেখার আহমেদ।
সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত ফার্মেসী বিভাগের ড.মোঃআশরাফ আলী জানান, সকলের নিকট শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি, যাতে শিক্ষা ও গবেষণায় সততার সঙ্গে কাজ করে ফার্মেসি বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে যথাযথভাবে অবদান রাখতে পারি, ইনশাআল্লাহ।
সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের (সিপিএস) মোঃ আওরঙ্গজেব আকন্দ নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে জানান,একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি, সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে আপগ্রেড হওয়া মানে শুধু উচ্চতর পদ লাভ নয়; বরং এটি আমাদের বর্তমান একাডেমিক দায়িত্বের পরিধি আরও বৃদ্ধি করেছে। এই পদোন্নতি আমাদেরকে আরও অধিকতর দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারে আবদ্ধ করেছে। এই পর্যায়ে আমাদের শুধু শ্রেণিকক্ষে পাঠদানই নয়, বরং অধিকতর মানসম্পন্ন গবেষণা এবং জাতীয় পর্যায়ে নীতিনির্ধারণে অবদান ও নেতৃত্ব প্রদানের সক্ষমতাও অর্জনের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।