ঢাকা, ১০ জুলাই ২০২৫ — শাপলাকে রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে বাতিল করার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, যদি শাপলা প্রতীক হিসেবে গ্রহণযোগ্য না হয়, তবে ধানের শীষও হতে পারে না। কারণ, দুটোই জাতীয় পরিচয়ের অংশ।
একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম বলেন, “শাপলা জাতীয় প্রতীক নয়, বরং জাতীয় প্রতীকের একটি অংশ। ঠিক যেমন ধানের শীষ, পাটপাতা কিংবা তারকা—সবই জাতীয় আইডেন্টিটির সঙ্গে জড়িত।”
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন (ইসি) নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে শাপলা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে পারবে না। এনসিপি-র পক্ষ থেকে দলীয় নিবন্ধনের আবেদনে শাপলা প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে ইসির সিদ্ধান্তে এই প্রতীক তফসিলভুক্ত না করায় এনসিপি তা নিয়ে আপত্তি তোলে।
সারজিস আলমের যুক্তি
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় ফুল হিসেবে শাপলা প্রতীক হতে আইনি কোনো বাধা নেই। বরং ইতোমধ্যে জাতীয় ফল কাঁঠাল নির্বাচনী মার্কা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সুতরাং শাপলা ব্যবহারে আপত্তির যৌক্তিকতা নেই।”
ফেসবুক পোস্টে আলম নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে কটাক্ষ করে লেখেন, “মার্কা দেখেই যদি ভয় পান, তাহলে সেটা আগে থেকেই বলেন!”
প্রাসঙ্গিক বিতর্ক
প্রতীক নিয়ে এ বিতর্ক এমন সময়ে সামনে এলো, যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদন জমা দিচ্ছে এবং প্রতীক বরাদ্দে বিভিন্ন দাবি জানাচ্ছে। ইতিপূর্বেও জাতীয় প্রতীক বা ঐতিহ্যবাহী চিহ্ন রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে গ্রহণযোগ্য কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে।
আইন কি বলে?
বাংলাদেশের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক প্রতীক অনুমোদন বা বাতিলের ক্ষমতা রাখে। তবে জাতীয় পরিচয় বা ঐতিহ্যের অংশ হওয়া প্রতীক রাজনৈতিক দলে ব্যবহৃত হলে তা আইনগতভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য, সেটি নিয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাওয়া যেতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।