শাহাদাৎ বাবু, নোয়াখালী সংবাদদাতা :
নোয়াখালীতে অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ায় এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহবুব আলমগীর আলো ও সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ। এ সময় জেলা প্রশাসনকে দুর্ভোগগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) নোয়াখালী জেলা বিএনপির (দাপ্তরিক দায়িত্বপ্রাপ্ত) সদস্য অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ রাত ১১ টায় এক লিখিত বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
লিখিত বার্তায় বলা হয়, প্রবল বৃষ্টিতে নাকাল নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীসহ বৃহত্তর জেলার অনেক জনপদ। বিপর্যস্ত জনজীবন। রাস্তাঘাট পানির নীচে। অপরিকল্পিত নগরায়ন, অকার্যকর ড্রেনেজ ব্যাবস্হাপনাসহ সব মিলিয়ে এসব কিছু নাগরিক জীবনে এক ভয়াবহ দূর্যোগ তৈরী করেছে। বিগত বছরের মত এবারও বন্যার আশংকায় শংকিত মানুষ। নিন্মবিত্ত, শ্রমজীবী মানুষ এক অসহনীয় অবস্থার সম্মুখীন, এমন পরিস্হিতিতে শঙ্কা প্রকাশ করে চরম উদ্ধেগ জানিয়েছেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহবুব আলমগীর আলো ও সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ।
লিখিত বার্তায়, অবিলম্বে দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান জেলা বিএনপি এবং স্হায়ীভাবে জলাবদ্ধতা দূরীকরনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানানো হয়।
জেলা বিএনপির (দাপ্তরিক দায়িত্বপ্রাপ্ত) সদস্য এডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ বলেন, গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বন্যার্ত মানুষের পাশে সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বিএনপি। এভাবে দুর্যোগ দুর্বিপাকে দুর্গত এলাকায় দুর্ভোগে পড়া মানুষের পাশে নোয়াখালী জেলা বিএনপি ছিল আছে এবং থাকবে।
উল্লেখ্য, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে নোয়াখালীতে গেল দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে জেলার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও অলিগলির রাস্তাঘাট, দোকানপাট ডুবে গেছে। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছে পথচারী ও খেটে খাওয়া মানুষ। বৃষ্টিতে অলিগলি ছাড়াও কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ শাখা সড়কে এবং বাসা বাড়িতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ২০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই অবস্থায় নদীবন্দরে ১ নম্বর ও সমুদ্র বন্দরে ৩নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ জানিয়েছেন, এ বিষয়ে দফায় দফায় মিটিং হয়েছে। তিনি শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন। এখানে প্রধান সড়ক গুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। তবে নিচু স্থান হওয়ায় পাশের কিছু সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে কাজ চলছে।